যদি আপনার ব্যবহূত হোয়াটসঅ্যাপে অজানা নম্বর থেকে ভিডিও পান, বিশেষ করে সেটি যদি কোনো এমপি ফোর ভিডিও ফাইল হয়ে থাকে, তাহলে সাবধান! কারণ, হ্যাকাররা এমপি ফোর ভিডিও ফাইলের মাধ্যমে ফাঁদ পেতে হ্যাক করে নিতে পারে আপনার ফোনের জরুরি তথ্য।
জানা গিয়েছে, হ্যাকাররা সম্প্রতি Pegasus স্পাইওয়্যারের মতোই কোনো সিস্টেম সফ্টওয়্যার কাজে লাগিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর গোপনীয় তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। এর জন্য এমপিফোর ফরমেটের ভিডিও ফাইল হোয়াটসঅ্যাপে পাঠাচ্ছে হ্যাকাররা।
বিষয়টি ইতিমধ্যেই ‘ইন্ডিয়ান কম্পিউটার এমার্জেনি্স রেসপন্স টিম’ CERT-এর নজরে এসেছে। জানা গিয়েছে, এর জন্য যাবতীয় সতর্কতা মূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে সিইআরটি। সম্প্রতি ইজরায়েলের স্পাইওয়্যার প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘এনএসও’ গ্রুপের বিরুদ্ধেও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে Pegasus স্পাইওয়্যার চালানের অভিযোগ ওঠে। সিভিই- ২০১৯-১১৯৩১ হিসাবে চিহ্নিত WhatsApp-এর দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়েই বিভিন্ন ধরনের স্পইওয়্যার ব্যবহারকারীর স্মার্টফোনে চালান করছে হ্যাকাররা। তার পরই হাতিয়ে নিচ্ছে যাবতীয় গোপনীয় তথ্য।
আরো পড়ুন: রোনালদোকে পেছনে ফেলে মেসির ষষ্ঠ ব্যালন ডি’অর
‘ইন্ডিয়ান কম্পিউটার এমার্জেনি্স রেসপন্স টিম’-এর বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এমপিফোর ভিডিও ফাইলের মাধ্যমে কোনো স্পাইওয়্যার হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর মোবাইলে ঢুকিয়ে দেওয়ার জন্য কোনো রকম অনুমোদনের প্রয়োজন হয় না। এমপিফোর ফরমেটের ভিডিও ফাইলটি মোবাইলে একবার ডাউনলোড হয়ে গেলেই ‘কেল্লা ফতে’! তাই হোয়াটসঅ্যাপের কোনো ভিডিও (বিশেষ করে রিসিভ হওয়া ভিডিও) ডাউনলোডের ক্ষেত্রে ‘অটো ডাউনলোড’ অপশন নিষ্ক্রিয় করে রাখাই ভাল। আর অচেনা কোনও নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপে আসা কোনো ভিডিও মোবাইলে ডাউনলোড করা থেকে বিরত থাকারই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইত্তেফাক/বিএএফ