শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

অভিযোগের সমাধান পাচ্ছেন না মোবাইল ফোন গ্রাহকরা

আপডেট : ১৪ জানুয়ারি ২০২০, ০২:০০

অভিযোগ করেও সমাধান পাচ্ছেন না মোবাইল ফোনের গ্রাহকরা। শীর্ষ দুই মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবি দিনের পর দিন অভিযোগগুলো ঝুলিয়ে রাখছে। গত বছরের অভিযোগ ও সুরাহার একটা হিসাব প্রকাশ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। সেখানে দেখা গেছে, গ্রাহকের অধিকাংশ অভিযোগের সমাধান দেয়নি গ্রামীণফোন, রবি ও টেলিটক। তবে বাংলালিংক গ্রাহকের ৫০ শতাংশের বেশি অভিযোগের সমাধান দিয়েছে।

বিটিআরসির পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কল সেন্টার থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী তৈরি করা এই প্রতিবেদনে সদ্য বিদায়ী বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সময়ে চারটি মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটকের গ্রাহক অভিযোগ সংখ্যা, এর মধ্যে কতটি সমাধান দেওয়া হয়েছে এবং কতটি ঝুলিয়ে রাখা হয় তার হিসাব দেওয়া হয়েছে। এদিকে নানা প্রতিবন্ধকতার পরও গত বছরের শেষ পাঁচ মাসে গ্রামীণফোন ও রবির গ্রাহকসংখ্যা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, গ্রামীণফোনের গ্রাহকের অভিযোগ সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ১১১টি। এর মধ্যে গ্রামীণফোন সমাধান দিয়েছে ৮৪৯টির। সমাধান দেয়নি ৩৭৩টির, আর কোনো সমাধান না দিয়ে গ্রাহককে ঝুলিয়ে রেখেছে ১ হাজার ৮৮৯টি অভিযোগের। দ্বিতীয় শীর্ষ অপারেটর রবির মোট অভিযোগ সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৮০৭টি। এর মধ্যে ২ হাজার ২২৫টি অভিযোগের সমাধান পেয়েছে গ্রাহকরা, সমাধান দেওয়া হয়নি ২ হাজার ৫৮২ জন গ্রাহককে।

গ্রাহককে ঝুলিয়ে রাখা হয় ছয়টি অভিযোগের ক্ষেত্রে। তৃতীয় শীর্ষ অপারেটর বাংলালিংকের মোট গ্রাহক অভিযোগের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ২৭৪টি। এর মধ্যে ৬৮৪টি অভিযোগের সমাধান দিয়েছে বাংলালিংক, সমাধান দেয়নি ৫৯০ জন গ্রাহকের। ঝুলিয়ে রেখেছে ৪৯ জন গ্রাহককে। টেলিটকের গ্রাহক অভিযোগের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ১০২টি। এর মধ্যে টেলিটক মাত্র ১২৮ জন গ্রাহকের সমস্যার সমাধান দিয়েছে, সমাধান দেয়নি ৯৭৪ জন গ্রাহকের। ঝুলিয়ে রেখেছে ছয় জন গ্রাহককে। গ্রামীণফোন ও রবির ক্ষেত্রে এপ্রিল মাসের পর থেকে অভিযোগের সমাধান দেওয়ার সংখ্যা কমেছে। বাংলালিংক ও টেলিটকের ক্ষেত্রে প্রায় একই হারে অভিযোগ এসেছে।

বিটিআরসির পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, ২০১৯ সালের জুলাই থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত চারটি অপারেটরের মোট গ্রাহকসংখ্যা বেড়েছে ৩০ লাখ ৬ হাজার। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের গ্রাহকসংখ্যা বেড়েছে ৭ লাখ ৮৫ হাজার, রবির বেড়েছে ৮ লাখ ৩ হাজার।

ইত্তেফাক/এমআর

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন