বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

টিকটকের ভারতীয় ব্যবসা বিক্রি করবে বাইটড্যান্স

আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১১:০৯

গত বছরের মাঝামাঝি ভারতে টিকটক বন্ধ করে দেয় দেশটির সরকার। এরপর বহু চেষ্টা, বহু দেনদরবার করলেও বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছে টিকটকের মূল প্রতিষ্ঠান বাইটডান্স। এখন শোনা যাচ্ছে, ভারতে টিকটকের ব্যবসা বিক্রি করে দেওয়ার আলোচনা চালাচ্ছে বাইটডান্স। স্থানীয় সম্পদ বিক্রি করে ক্ষতি কমানোর চেষ্টা করছে বলে জানানো হয়েছে টেকরাডারের প্রতিবেদনে।

এদিকে সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, টিকটকের স্থানীয় প্রতিদ্বন্দ্বী গ্ল্যান্সের সঙ্গে আলোচনা চলছে বাইটডান্সের। ভারতে গ্ল্যান্সের সেবা অনেকটা টিকটকের মতো খুদে ভিডিও নিয়েই। প্রতিষ্ঠানটিতে জাপানি প্রতিষ্ঠান সফটব্যাংকের বিনিয়োগও আছে। তবে এর চেয়ে বেশি কিছু আর জানানো হয়নি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারতে টিকটকের স্থানীয় সম্পদ কিনে নেওয়ার প্রস্তাব জাপানের সফটব্যাংকের পক্ষ থেকেই এসেছে। মজার ব্যাপার হলো, ইনমোবি নামের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গ্ল্যান্সে বিনিয়োগ করেছে সফটব্যাংক। এদিকে টিকটকের মূল প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্সেও বিনিয়োগ আছে সফটব্যাংকের। অর্থাত্ সম্ভাব্য এই চুক্তির আলোচনা চলছে চার পক্ষের মধ্যে, যাদের তিন পক্ষের পেছনে কোনো না কোনোভাবে রয়েছে সফটব্যাংক। আর চতুর্থ পক্ষ হলো ভারত সরকার।

চীনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতের জের ধরে ২০২০ সালের মাঝামাঝি টিকটকসহ বহু চীনা অ্যাপ বন্ধ করে দেয় নয়াদিল্লি। টিকটকের আন্তর্জাতিক বাজারগুলোর মধ্যে ভারত উল্লেখযোগ্য হওয়ায় ভারতে ফেরার অনেক চেষ্টা করেছে তারা। এমনকি ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে হাত মেলানোর চেষ্টাও করেছে। তবে ভারত সরকার নিজেদের অবস্থানে অনড়।

সম্ভাব্য চুক্তি ভারত ও চীন কীভাবে নেবে?

বাইটডান্স এবং গ্ল্যান্সের আলোচনা কতদূর গড়িয়েছে, তা জানার সুযোগ এখনো হয়নি। আলোচনা যদি ফলপ্রসূও হয়, তবু ভারতীয় সরকারের অনুমোদন লাগবে।

ভারতে ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর শর্ত হলো, ভারতীয় ব্যবহারকারীদের তথ্য ও প্রযুক্তি ভারতের বাইরে যাওয়া চলবে না। গ্ল্যান্স ভারতীয় প্রতিষ্ঠান হওয়ায় সে শর্ত অন্তত পূরণ হচ্ছে। কে জানে, বিলবোর্ডের কোনে ছোট্ট করে ‘শর্ত প্রযোজ্য’ লেখার মতো আরও শর্ত জুড়ে দেওয়া আছে কি না।

অবশ্য সেখানেই শেষ না। বেইজিংও ঝামেলা করতে পারে। কারণ, প্রযুক্তি রপ্তানি নিয়ে নতুন আইন আছে তাদের। অর্থাত্ টিকটকের কোনো অংশ বিক্রি করতে হলে চীনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমোদন নিতে হবে। ভারত যদি নরম সুর করে, তবে এখন চাতক পাখির মতো বেইজিংয়ের দিকে তাকিয়ে থাকবে বাইটডান্স।

ইত্তেফাক/জেডএইচডি

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন