চলতি বছর কিংবা আগামী বছরের মধ্যে শেয়ার বাজারে নামতে যাচ্ছে ভারতের বেশ কয়েকটি ইন্টারনেট কোম্পানি। ১.১ বিলিয়ন ডলার অর্থ সংগ্রহের জন্য দেশের ডোরড্যাশের প্রতি দায়ের করেছে জুমাটো। এ ছাড়া ওয়ালমার্টের মালিকানাধীন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ফ্লিপকার্ট, পেটিএম এবং অনলাইন শিক্ষার প্ল্যাটফর্ম বাইজু জনগণকে সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্টারনেট কোম্পানিগুলো ভারতীয় বাজারকে একটি নতুন আকার দিতে পারে। যদিও বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান। শক্তি, অর্থনীতি এবং আইটি প্রতিষ্ঠানগুলো বর্তমানে ভারতের বাজারে আধিপত্য বিস্তার করছে। ভারতের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজও তেল এবং গ্যাস থেকে ক্রমশ দূরে সরে আসছে। গত বছর তারা নিজেদের প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্ম জিও এর জন্য ফেসবুক ও গুগল থেকে বিনিয়োগ সুরক্ষিত করেছে।
কিছু বেসরকারি প্রযুক্তি সংস্থা ভারতের সবচেয়ে বড় কোম্পানি হতে পারে। গত বছর ওয়ালমার্টের নেতৃত্বে বিনিয়োগকারীদের একটি গ্রুপের ২৫ বিলিয়নের মূল্যায়ন থেকে ১.২ বিলিয়ন ডলার অর্জন করেছে ফ্লিপকার্ট। ২০১৯ সালে পেটিএমের মূল্য ছিল ১৬ বিলিয়ন ডলার। তখন এটি সফটব্যাঙ্ক এবং এন্ট গ্রুপসহ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ উপার্জন করেছে।
ভারতে মহামারি করোনাভাইরাস ব্যাপক হারে আঘাত হানলেও দেশটির শেয়ার বাজার বেড়েছে। চলতি সপ্তাহে এমএসসিআই ইন্ডিয়া সূচকটি রেকর্ড উচ্চতায় রয়েছে এবং আজকের তারিখ পর্যন্ত ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
বার্নস্টেইনের মতে, ভারতে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোকে নতুন ক্রেতা পেতে সহায়তা করেছে মহামারি। ইন্টারনেট কোম্পানিগুলো তাদের বার্ষিক ক্রেতার হার ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে যে সব বিনিয়োগকারীরা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোতে অর্থ ঢেলেছে তারাও এবার মূলধন উঠিয়ে নিতে পারবেন।
ইত্তেফাক/টিএ