ফ্রিল্যান্সিং ইনোভেশন কনটেস্ট ২০২১ এর গ্রান্ড ফাইনালে এক লক্ষ টাকা প্রাইজমানি জিতে নিয়েছেন ফাতেমা মোস্তারী খান নামের এক নারী ফ্রিল্যান্সার। উইমেন স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস (WSDFM) প্রকল্পের আওতায় ডাচ ফাউন্ডেশন ও কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রতিযোগীতায় ৬০টিরও বেশি উদ্ভাবনধর্মী ফ্রিল্যান্সিং আইডিয়া নিয়ে প্রতিযোগিরা এতে অংশ নেন।
দুটি রাউন্ডের মাধ্যমে প্রথমে সেরা দশ এবং ফাইনাল রাউন্ডের জন্য সেরা পাঁচটি দলকে বাছাই করা হয়। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত গ্রান্ড ফাইনালে সেই পাঁচটি দল তাদের আইডিয়া ও বিজনেস প্ল্যান বিচারকদের সামনে তুলে ধরে। বিচারকরা ফ্রিল্যান্সিংয়ের আইডিয়াগুলো কতটা প্রয়োগযোগ্য, এর প্রভাব বা ফল কি হতে পারে, এতে ব্যবসা, সেবা কিংবা প্রযুক্তির প্রয়োগ কিভাবে হবে, ব্যবসায়িক পরিকল্পনা ও কৌশল কেমন হবে এবং সার্বিকভাবে এটা মানবতার উন্নয়নে কতটুকু ভূমিকা
রাখতে পারে তার নিরীখে মূল্যায়ন করেন। সে মূল্যায়নের ভিত্তিতেই সেরা ঘোষণা করা হয় ফাতেমা মোস্তারী’কে।
এই প্রতিযোগীতায় মোস্তারীর উপস্থাপন করা গ্রাফিক্স ডিজাইনিং বিষয়ক ফ্রিল্যান্সিং আইডিয়াটিকে আইটি খাতে নজরের বাইরে থাকা একটি গোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করবে বলেই বিচারকরা মত দেন এবং তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
তিনি একটি প্ল্যাটফর্ম ডেভেলপমেন্ট এর মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রাফিক ডিজাইনারদের বিশ্বের গ্লোবাল মার্কেট তথা ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিকবাজারে তুলে আনার স্বপ্নের একটি প্রকল্পের কথা জানান। প্রকল্পটিকে বাস্তবসম্মত, চিন্তাশীল ও প্রয়োগযোগ্য বলে বিচারকরা মত দেন। গ্রান্ড ফাইনালে আরও অংশ নেন শতাব্দী
সরকার, এস এম আজমাইন আসফ, আমির ফয়সাল ও রাশেদ বিন ওমর এবং তাদের দল।
চূড়ান্ত পর্বে প্রত্যেকটি দলই উদ্ভাবনী চিন্তার ফ্রিল্যান্সিং প্রকল্প উপস্থাপন করেন। এদের প্রত্যেকেই পাচ হাজার টাকা করে প্রাইজমানি পাচ্ছেন। প্রতিযোগিতাটির মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের ফ্রিল্যান্সারদের বিভিন্ন সমস্যার সহজ সমাধান খুজে বের করা।
বিজয়ের পর মোস্তারী খান বলেন, তিনি তার প্ল্যাটফর্মটি ডেভেলপমেন্ট এর মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রাফিক ডিজাইনারদের দের বিশ্বের গ্লোবাল মার্কেটে নিয়ে আসতে চান এবং সেখান থেকে তাদের পর্যাপ্ত স্কিল ট্রেইনিং এর মাধ্যমে গ্লোবাল মার্কেট প্লেসে যুক্ত করে আর্থ সামাজিক উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব মোঃ আব্দুল করিম। নিউইয়র্ক থেকে অনলাইনে যুক্ত হন কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশের কো-ফাউন্ডার ও চেয়ারম্যান আজিজ আহমদ, কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশের চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট মোহাম্মদ মাহাদী উজ জামান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী শাহীদ মালিক।
প্রতিযোগিতায় বিচারকের ভুমিকায় ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমআইএস অনুষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আকরাম হোসেন। আরও ছিলেন কোডার্সট্রাস্ট বাংলাদেশ সিনিয়র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আব্দুল হালিম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক ও অপরাজেয়বাংলা.কম'র সম্পাদক মাহমুদ মেনন খান।
ইত্তেফাক/আরকে