শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ঈদে ডিজিটাল হাটে সরাসরি বিক্রি ১ হাজার ৫৬৫টি পশু

আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২১, ২২:৫৮

কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে চালু হওয়া অনলাইনে কোরবানির পশুর হাট (ডিজিটাল হাট) থেকে সরাসরি মোট ১ হাজার ৫৬৫টি পশু বিক্রি হয়েছে। যার মূল্য ১৩ কোটি ৯১ লক্ষ ১৬ হাজার ৫৪০ টাকা।

ডিজিটাল হাটের বাস্তবায়নকারী সংস্থা ই-কমার্স অ্যাসেসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) থেকে ইত্তফাক অনলাইনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ই-ক্যাবের দেওয়া  তথ্যমতে এবারের ঈদ উল আযহার আগের দিন (২০ জুলাই) পর্যন্ত ডিজিটাল হাট থেকে ৫৪টি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান সরাসরি ১ হাজার ৫৬৫ টি পশুপশু বিক্রয় করেন। যার মধ্যে ১ হাজার ৪৫৭ টি গরু ও মহিষ এবং  ১০৮ টি ছাগল ও ভেড়া ছিলো। এছাড়াও ২৬৫ টি পশুর স্লটারিং সেবাও নেওয়া হয় এই হাট থেকে। 

এদিকে প্রথমবারের মত বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক চালু করা স্ক্রো সেবার মাধ্যমে এবার ২৪টি পশু বিক্রি হয়েছে এই ডিজিটাল হাট থেকে। 

করোনা মহামারীতে কোরবানির পশুর হাটের জনসমাগম ঠেকাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অধীন এলাকায় ডিজিটাল কোরবানির হাট উদ্বোধন হয় ৪ জুলাই। পরবর্তীতে ১৩ জুলাই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এই ডিজিটাল হাট (www.digitalhaat.net) দেশব্যপী সম্প্রসারণ করা হয়। 

এবারে ডিজিটাল হাটে প্রদর্শিত সবচেয়ে কম দামী গরুর মুল্য ছিলো ৪২ হাজার ৫০০ টাকা। আর সবচেয়ে বেশী দামী গরুর মূল্য ১৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এদিকে সবচেয়ে কমদামী ছাগল ছিলো ১১ হাজার ৫০০ টাকার আর সবচেয়ে বেশী দামী বিক্রিত ছাগল ছিলো ২৬ হাজার টাকার। 

জানা যায়, ডিজিটাল হাট থেকে  সরাসরি ১৩ কোটি ৯১ লক্ষ ১৬ হাজার ৫৪০ টাকার পশু বিক্রি হয়। যার মধ্যে ১৩ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৪০ টাকার গরু ও মহিষ এবং  ১৭ লাখ ৮৫ হাজার ৯৪০ টাকায় ছাগল ও ভেড়ার বিক্রি হয়। ইক্যাবের হিসেব মতে ডিজিটাল হাটে বিক্রিত ছাগলের গড় মূল্য: ১৬ হাজার ৩৩৬ টাকা, বিক্রি হওয়া গরুর গড় মূল্য: ৯২ হাজার ৮৮৩ টাকা।

আইসিটি, টেক নিউজ, ইত্তেফাক, আজকের খবর, বাংলাদেশের খবর, আইসিটি নিউজ, tech news, bdtech news, Ict news, Ittefaq, shovon, শোভন, ই-ক্যাব

এবারের ডিজিটাল হাট নিয়ে গ্রাহক পর্যায় থেকে তেমন কোন ভোগান্তির অভিযোগ পাওয়া না গেলে ওজনের তারতম্য নিয়ে ৪ জন গ্রাহক অভিযোগ করেন। এই বিষয়ে ইক্যাবের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম শোভন ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, ডিজিটাল হাটে স্লটারিং হাউজে ডেলিভারী হওয়া ৪টি পশুর ওজন নির্ণয় করে কম পাওয়া গেছে। সেটা ক্রেতা এবং বিক্রেতাকে জানানো হয়েছে। ৩টি পশুর ওজন ২ দিন পর আবার ঠিক হয়ে গেছে খাবার গ্রহণের কারণে। বিশেষ করে রাস্তায় ট্রাফিক জ্যামের কারণে ১৮/২০ ঘন্টায় পশুর ওজন ১৫ থেকে ২০ কেজী করে কমে গেছে। ওজন ফিরে আসলেও ৩টা পশুর ক্ষেত্রে ক্রেতারা ডিজিটাল হাটের হিসেব মতো টাকা ফেরত দিয়েছে। সে টাকা ক্রেতার কাছে পৌছে দেয়া হয়েছে। 

শোভন আরো জানান, একজন ক্রেতা কোরবানীর পশু ফেরত অর্থ গ্রহণ করা নাযায়েজ মনে করে এটা গ্রহণ করতে চাননি। বাসায় ডেলিভারী দেয়া একটা পশু খাবার খাচ্ছিলনা। পরে বিক্রেতা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর থেকে পরামর্শ নেয়ার পর গরুটি খাবার গ্রহণ করে এবং সমস্যার সমাধান হয়।

ecab, haat, gorur haat, digital haat, daraz, digitahaat, ICT, BPC, A2i

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও ই-ক্যাবের যৌথ উদ্যোগে এবং এটুআই এর কারিগরি সহায়তায় চালু করা হয়েছিলো ডিজিটাল হাট। যেখান থেকে ঈদ উল আযহার আগের দিন পর্যন্ত কোরবানির পশু কেনার সুযোগ ছিলো। এই প্ল্যাটফর্মে সারাদেশের ১৮৪৩ টি অনলাইন শপের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের ৬৬৮টি হাটকে এই ডিজিটাল হাটে যুক্ত করা হয়েছিলো। 

 

ইত্তেফাক/আরকে

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন