শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রবি'র সিইও পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন মাহতাব

আপডেট : ০৫ আগস্ট ২০২১, ১৬:৪৫

দেশের অন্যতম টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটা লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে ৫ বছর দায়িত্ব পালন শেষে এ পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাহতাব উদ্দিন আহমেদ।

চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁর দায়িত্বের মেয়াদ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও গতকাল বুধবার (৪ আগস্ট) থেকেই থেকেই তিনি ছুটিতে গিয়েছেন। তার অবর্তমানে রবি’র প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) এম রিয়াজ রশিদ কোম্পানির ভারপ্রাপ্ত সিইও হিসেবে এ সময়ে দায়িত্ব পালন করবেন।

এই বিষয়ে মাহতাব উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় আছেন, আর সেখান থেকেই ছুটির আবেদন করেছেন বলে ইত্তেফাক অনলাইনকে নিশ্চিত করেছে নাম রবির একটি সুত্র। এদিকে বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) মাহতাব উদ্দিনের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করে রবি'র পক্ষ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। 

No description available.

বিজ্ঞতিতে বলা হয়, রবির প্রথম বাংলাদেশি সিইও হিসেবে মাহতাব উদ্দিন আহমেদ এই কোম্পানিকে সাফল্যের এক নতুন চূড়ায় নিয়ে গেছেন। ৪-জি সেবায় রবিকে শীর্ষ স্থানে নেওয়া, বাংলাদেশের কোম্পানি ইতিহাসে সর্ববৃহৎ রবি-এয়ারটেল মার্জার সম্পন্নকরণ, পুঁজিবাজারের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ আইপিও'র মাধ্যমে রবি'র তালিকাভুক্তি, ডিজিটাল অগ্রযাত্রায় বিভিন্ন যুগান্তকারী পদক্ষেপ তাঁর সাফল্যের কিছু উদাহরণ। ডিজিটাল উদ্ভাবনে নেতৃত্ব প্রদানের মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মের ডিজিটাল চ্যাম্পিয়ন কোম্পানি হিসেবে রবিকে প্রতিষ্ঠায় মাহতাবের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

রবি'র পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান থায়াপারান সাঙ্গারাপিল্লাই বলেন, দেশের শীর্ষ ডিজিটাল কোম্পানি হিসেবে রবিকে প্রতিষ্ঠায় মাহতাবের দৃঢ় ভূমিকার জন্য পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ হতে তাঁকে আমি অভিনন্দন জানাই।

দায়িত্ব পালনে পূর্ণ সহযোগিতার জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি), বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, রবি’র সহকর্মী ও ব্যবস্থাপনা পর্ষদ, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, গণমাধ্যম এবং সর্বোপরি গ্রাহকদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মাহতাব উদ্দিন আহমেদ।

ইত্তেফাক/আরকে

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন