বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রাজধানীতে অবৈধ ভিওআইপি স্থাপনায় বিটিআরসির অভিযান

আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৫:২০

অবৈধ ভিওআইপির বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে বিটিআরসি প্রযুক্তিভিত্তিক সোর্স ব্যবহার করে এবং র‍্যা এর সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করা হয় মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জাকির হোসেন রোডের একটি বাড়িতে এই অভিযানে ৩০ লাখ টাকার অবৈধ ভিওআইপির সরঞ্জাম জব্দসহ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে

অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিটিআরসির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,  বিটিআরসির এনফোর্সমেন্ট টিমের সম্পূর্ণ কারিগরি দক্ষতা এনটিএমসির প্রযুক্তিগত সহায়তায় পরিচালনাধীন অবৈধ ভিওআইপি অপারেশনকালীন একটি আবাসিক স্থাপনা থেকে ৫১২ পোর্টের এর ৩টি, ২৫৬ পোর্টের টি সিমবক্স, ৭টি ল্যাপটপ, ৫টি মডেম, ১টি সুইচ ৯০০টি টেলিটক সিম জব্দ করার পাশাপাশি একজনকে গ্রেফতার করা হয়। 

বিটিআরসির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, একজন সৌদি প্রবাসীসহ জনের একটি সিন্ডিকেট প্রায় দেড় বছর ধরে ভিওআইপির এই অবৈধ ব্যবসা পরিচালিত করে আসছিলো। এতে প্রতিদিন সর্বোচ্চ লক্ষ ৩০ হাজার মিনিট হারে কল হতো, যার ফলে সরকার প্রায় কোটি টাকার রাজস্ব হারায়। বিটিআরসি ধরণের অভিযান চলমান থাকবে এবং  অবৈধ ভিওআইপির বিরুদ্ধে কমিশনের পক্ষ থেকে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করা হয়েছে বএলো জানানো হয়

No description available.

এদিকে অভিযানের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে মঙ্গলবার রাতে র‍্যাবের আইন গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার মঈন বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়ার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার সরঞ্জামসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।  তবে উদ্ধারকৃত সরঞ্জামের মূল মালিক আলি নামের একজন প্রবাসী। সে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে থাকে। তবে সে প্রবাসে থাকলেও তিনজন কর্মী রেখে এই ব্যবসা পরিচালনা করত। তিনজনের মধ্যে দুই জন সার্ভার মেইনটেইন করত।  তবে তারা এখন পলাতক রয়েছে

তিনি আরো বলেন, অভিযানে হাজারের বেশি সিম উদ্ধার করা হয়েছে।  এই সিম ব্যবহার করে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা ফোন কল অবৈধভাবে ট্রানজেকশন করতো। অভিযানে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ভিওআইপি সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এই সরঞ্জাম ব্যবহার করে এক সঙ্গে ১৬০ টি কল ট্রানজেকশন করা হতো। আর এই কলের মাধ্যমে প্রতি বছর কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছিলো সরকার। এই চক্রটি গত দেড় বছর ধরে এই কাজ করে আসছিলো। সেই হিসেবে সরকারের থেকে কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই চক্রের বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। 

ইত্তেফাক/আরকে

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন