শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রাতের আকাশের ও চাঁদের ছবি তুলতে সক্ষম জিরো এক্স প্রো

আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২১:১৬

রাতের আকাশের ও চাঁদের উচ্চ-রেজ্যুলেশনের নৈসর্গিক সব ছবি তুলতে সক্ষম এমনই এক স্মার্টফোন নিয়ে এসেছে চীনা মোবাইল ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। সম্প্রতি লন্ডনের বিখ্যাত জ্যোর্তিবিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘রয়েল অবজারভেটরি গ্রিনউইচ’ এর সঙ্গে আয়োজিত এক ওয়েবিনারের মাধ্যমে নিজেদের নতুন স্মার্টফোন ‘জিরো এক্স প্রো’ মডেল উন্মোচন করা হয়।

গিজমো চায়নায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দৃষ্টিসীমার সীমাবদ্ধতা দূর করে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের মহাকাশের নৈসর্গিক সৌন্দর্য্য উপভোগের সুযোগ করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে সম্প্রতি ‘ইনফিনিক্স প্রেজেন্ট: সি বিয়োন্ড’ শিরোনামে ওয়েবিনারটির আয়োজন করে ‘ইনফিনিক্স’। মহাকাশ আবিষ্কারের প্রতি তরুণ প্রজন্মকে আগ্রহী করে তোলাও এই আয়োজনের অন্যতম লক্ষ্য ছিলো।

Infinix Zero X series

ওয়েবিনারটিতে অংশ নিয়ে স্বনামধন্য জ্যোতির্বিদ ও প্রযুক্তিবিদরা বিস্তৃত মহাকাশ, চাঁদ ও বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অপরূপ সৌন্দর্য তুলে ধরার পাশাপাশি ক্যামেরায়বন্দি করার মাধ্যমে সেগুলো স্বচক্ষে দেখার অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা করেন। 

সেমিনারে জানানো হয়, ‘জিরো এক্স প্রো’ স্মার্টফোনে ৬০এক্স পেরিস্কোপ মনোস্কোপ ক্যামেরা এবং ইনফিনিক্সের গ্যালিলিও অ্যালগরিদম ইঞ্জিনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সহজেই হাই-রেজ্যুলেশনের চাঁদের ছবিও তুলতে পারবেন। এছাড়া ‘জিরো এক্স প্রো’ স্মার্টফোন ব্যবহার করে তারকাখচিত আকাশের মোহনীয় ছবি তোলার ব্যাপারেও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয় স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের। সেমিনারেঅংশগ্রহণকারীরা আকর্ষণীয় ও ভালোমানের ছবি তোলার জন্য সৃজনশীল চিন্তাভাবনা তৈরির কৌশল নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। 

কি করে চাঁদ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ মানুষের চিন্তাজগতকে আলোড়িত করতে পারে, অনুষ্ঠানে সে বিষয়টি তুলে ধরেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও গবেষক ড. এমিলি ডারাবেক-মুন্ডার। বিস্ময়কর মহাকাশ আবিষ্কারের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা বলেন তিনি। মুন্ডার বলেন, “গ্রিনউইচে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে জ্যোতির্বিদ্যাকে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছে দেওয়া। এক্ষেত্রে মহাকাশকে জানার সুযোগ সহজ করতে ইনফিনিক্সের প্রতিশ্রুতি ও অবদানের জন্য আমরা কোম্পানিটির কাছে কৃতজ্ঞ। যৌথ এই সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব উভয় প্রতিষ্ঠানকেই উপকৃত করবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে আরো বেশি মানুষকে চাঁদ সহ সমগ্র মহাবিশ্ব সম্পর্কে জানার সুযোগ তৈরি করে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। সাধারণ মানুষ তাদের সীমাবদ্ধতাকে অতিক্রম করে নিজেদের স্বপ্নের মতো করেই পৃথিবীটা আবিষ্কার করুক, এটাই আমাদের কামনা।”

সেমিনারে ইনফিনিক্সের হেড অব পাবলিক রিলেশন্স স্কাই চেন বলেন, স্মার্টফোনের ক্যামেরা প্রযুক্তিকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা এবং মহাকাশ আবিষ্কারের চেষ্টা; এ দু’টি বিষয়ের সঙ্গে ইনফিনিক্সের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ইনফিনিক্সের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির স্মার্টফোনের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের জন্য মহাকাশের বিস্ময়কে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসতে পেরে আমরা সত্যিই রোমাঞ্চিত অনুভব করছি। এতে করে তারা কল্পনাতীত অভিজ্ঞতার মাধ্যমে মহাকাশকে উপভোগ করতে পারবে বলে আশাকরি। এক্ষেত্রে আমাদেরকে সহযোগিতার জন্য আমরা দ্য রয়েল অবজারভেটরি গ্রিনউইচকে বেছে নিয়েছি, কারণ তারাও নতুন প্রজন্মকে মহাকাশ বিষয়ে অনুপ্রাণিত করছে।

ইত্তেফাক/আরকে

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন