তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ পেয়ে গত কয়েক বছরে নিজের জীবন বদলে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছেন অসংখ্য তরুণ। ‘কেমন আছে ফ্রিল্যান্সার নাদিয়া’ গল্পের মূল চরিত্র তাঁদেরই একজন। সম্প্রতি জনতা টাওয়ারে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে বইটির নতুন সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন কালে পলক এই কথা বলেন।
পলক বলেন, বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়ে উঠেছে আমাদের উদ্যমী তরুণদের হাত ধরে। তরুণরাই আমাদের সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ও ডিজিটাল বাংলাদেশের স্থপতি প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ভাইয়ের পরামর্শ ও সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনায় আমরা দেশের লাখো তরুণকে প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছি।
তিনি আরো বলেন, কেমন আছে ফ্রিল্যান্সার নাদিয়া উপন্যাসটি দেশের আরও তরুণকে অনুপ্রেরণা দেবে, এই সকল সফল গল্পগুলো তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে কাজ করবে। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপন্যাসটির লেখক রাহিতুল ইসলাম ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য)-এর সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেনসহ অনেকে।
উপন্যাসের প্রধান চরিত্র নাদিয়াকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পরেই পাত্রস্থ করেন তার অভিভাক। আদরে থাকা নাদিয়া শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে মুখোমুখি হয় কঠিন বাস্তবতার। কিন্তু আর পাঁচটা মেয়ের মত সংসারের চিরাচরিত নিয়মে অভ্যস্ত না হয়ে সে হয়ে উঠেছে একজন ফ্রিল্যান্সার। প্রতিকূল পরিবেশকে তোয়াক্কা না করে একটি মেয়ের ঘুরে দাঁড়ানোর এই উপাখ্যান লেখক রাহিতুল ইসলামের এই উপন্যাসে লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্পটি কীভাবে একজন নারীকে বাধা পেরোনোর সাহস দিয়েছে, কীভাবে তিনি বহু ত্যাগ স্বীকার করে উদ্যোক্তা হলেন, সে গল্প নিশ্চয়ই দেশের আরও তরুণকে অনুপ্রেরণা দেবে, জোগাবে নতুন কিছু করার সাহস!
ইত্তেফাক/আরকে