বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

রোবট আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে: পলক

আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২২, ২৩:২৯

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন রোবট এখন কোন বিলাসী বিষয়বস্তু নয়, রোবট আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত '৪র্থ বাংলাদেশ রোবট অলিম্পিয়াড ২০২১'র সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প:২০৪১ বাস্তবায়নে ডিজিটাল ইকোনমি গড়ে তোলা অপরিহার্য। সে লক্ষ্য অর্জনে রোবটিকসকে প্রধান্য দিতে হবে। তিনি বলেন আমাদের আগামী দিনের লক্ষ্য হচ্ছে একটি ডিজিটাল ইকোনমি ও নলেজ বেইজড সোসাইটি গড়ে তোলার মাধ্যমে একটি স্মার্ট নেশন বিনির্মাণ করা।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন বিগত ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ এর নেতৃত্বে আইসিটি খাত চারটি পিলার শক্ত ভিত্তির উপর দাড়িয়েছে। এর মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যন্ত ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি পৌছে গেছে। যে কারণে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা প্রায় ১২ কোটি দাড়িয়েছে এবং ই-গভর্নেন্সে বৈপ্লিক পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়েছে। ১২ বছর আগে বাংলাদেশ ছিল প্রযুক্তি বিহীন, দুর্নীতি গ্রস্থ দরিদ্র রাষ্ট্র। কিন্তু বর্তমানে সজীব ওয়াজেদ জয়ের দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ প্রযুক্তি নির্ভর, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ।

পলক বলেন আগামী প্রজন্মকে  চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে মোকাবিলায় উপযোগী করে গড়ে তুলতে শেখ হাসিনা ইন্সটিটিউট ফ্রন্ট্রিয়ার টেকনোলজি স্থাপন করা হচ্ছে। রোবটিকস সম্পর্কে হাতে কলমে শিক্ষা দিতে দেশে ৩০০টি স্কুল অব ফিউচার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। যা আগামী ২০২২ সাল থেকে চালু করা হবে।

তিনি আরও বলেন মানুষের জীবনের ঝুকি থাকে এমন কাজগুলোতে রোবটের আরো বেশি ব্যবহার করার জন্য অর্থায়নসহ তরুণ শিক্ষার্থী এবং গবেষকদের উৎসাহিত করতে হবে। আগামী বছর দেশে একটি রোবটিকস ফেস্টিভাল করা হবে বলে তিনি জানান। 

অনলাইন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ড. মোঃ আব্দুল মান্নান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালসহ প্রমুখ।

ইত্তেফাক/এমআ