শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বিদেশি বিনিয়োগ পেয়েও কেন কর্মী ছাঁটাই করছে ‘সহজ’

আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২১, ০০:২৮

কয়েক ধাপে বড় অঙ্কের বিদেশি বিনিয়োগ পাওয়ার পরও নিজেদের রাইড শেয়ারিং ও ফুড ডেলিভারি সার্ভিস বন্ধ করে দিচ্ছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান সহজ। হঠাৎই স্বল্প সময়ের নোটিশে এই দুই বিভাগের কর্মীদের অব্যাহতি দেওয়ার অভিযোগও পাওয়া গেছে। এই খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কর্মীদের মানবাধিকার এভাবে লঙ্ঘিত হলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে বাংলাদেশ থেকে।

চাপের মুখে বাধ্য হয়ে রিজাইন করা সহজের ফুড ডেলিভারি বিভাগের কয়েকজন কর্মী ইত্তেফাক অনলাইনকে জানান, হুট করেই অব্যাহতির নির্দেশ হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। চলতি (অক্টোবর) মাসের শেষদিনই তাদের শেষ কর্মদিবস হবে। রাইড শেয়ারিং বিভাগও বন্ধের পথে। হঠাৎ চাকরি হারিয়ে চোখে অন্ধকার দেখছেন এই কর্মীরা।

এ বিষয়ে সহজের পাবলিক রিলেশন অফিসার ফারহাত আহমেদ ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, ‘এই নিয়ে আমাদের লিখিত বক্তব্য রয়েছে। সেখানেই সব বলা আছে।’  

কিছুক্ষণ পর এই প্রতিবেদককে হোয়াটসঅ্যাপে একটি বক্তব্য পাঠানো হয়। সেখানে রাইড শেয়ারিং সেবার বিষয়ে লেখা থাকলেও ফুড ডেলিভারি বিভাগ বন্ধের কারণ কিংবা কর্মীদের ছাঁটাইয়ের ব্যাপারে কিছুই বলা হয়নি।

সহজের পাঠানো লিখিতে বক্তব্যে বলা হয়েছে, ‘করোনার সময়ে রাইড শেয়ারিং খাতেও এসেছে আমূল পরিবর্তন। যেখানে চালকদের দ্বারা অফলাইন বা চুক্তিভিত্তিক যাত্রীবহন পরিলক্ষিত হয়েছে। সরকারের বিধিনিষেধ অনুযায়ী আমরা আমাদের রাইড শেয়ারিং সেবা বন্ধ রেখেছিলাম। আর তাই ওই সেবা চালু করার বিষয়টি বর্তমানে আলোচনাধীন। পাশাপাশি  অন্যান্য সেবায় আগের চেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়ে ভবিষ্যতে নতুন আরও সেবা আনতে কাজ করছি।’

একটি বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ পেয়েছে সহজ। ফিন্যান্সশিয়াল টেকনোলজি ও টিকেটিং সক্রান্ত কাজের জন্য এ বিনিয়োগ পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।  

এর আগে, ২০১৮ সালে দেশব্যাপী রাইড শেয়ারিং সেবা বিস্তারের জন্য ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার পেয়েছিল সহজ। এখন এই বিনিয়োগের মাত্র ৩ বছরের মাথায় তাদের বিরুদ্ধে এই বিভাগ ও ফুড ডেলিভারি বন্ধের অভিযোগ উঠলো।

অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব আলী ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, ‘বিদেশিরা চাকরির ক্ষেত্রে মানবাধিকারকে অনেক গুরুত্ব দেয়। যদি কর্মীদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে ছাঁটাই করা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে আর নাও আসতে পারে।’

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে টিকেটিং করার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে সহজ। পরে ফুড ডেলিভারি, ট্রাক বুকিং ও রাইড শেয়ারিংও যুক্ত হয় সহজের সার্ভিসে।

ইত্তেফাক/এসএ
 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন