বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

এখন যারা ছাত্র, তাদেরকে কষ্ট করে দেশ গড়তে হবে: সৈয়দ মুজিবুল হক

আপডেট : ১৪ মে ২০১৯, ১৯:৫৭

আইসিটি ডিভিশনের আইডিয়া প্রকল্প পরিচালক যুগ্ম সচিব সৈয়দ মুজিবুল হক বলেছেন, ‘আমাদের দেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হচ্ছে। আর এ কারণে আমাদের অবকাঠামোগুলো নিম্ন আয়ের দেশ থেকে উচ্চ আয়ের দেশের মত গড়ে উঠছে। এটা খুব কঠিন সময়। এ সময় তোমাদের মত এখন যারা ছাত্র, তাদেরকেই কষ্ট করে দেশ গড়তে হবে।’

আজ মঙ্গলবার সকালে, সাভারের শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন কেন্দ্রে ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ: চেপ্টার ওয়ান’-এর জাতীয় ক্যাম্পের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

‘আমার উদ্ভাবন, আমার স্বপ্ন’ এই স্লোগান নিয়ে চলতি বছর ৮ মার্চ শুরু হয় ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ’। আইসিটি ডিভিশনের আইডিয়া প্রকল্প ও ইয়াং বাংলার আয়োজনে চলা এই কার্যক্রমের জাতীয় ক্যাম্পের প্রথম দিনে অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তা দলগুলোকে নিয়ে শুরু হয় কর্মশালা। কর্মশালায় দেশের ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নির্বাচিত ১২০টি উদ্যোক্তা দলের তিনশ’র বেশি শিক্ষার্থী অংশ নেন। এ সময় উদ্ভাবনী ভাবনাকে পণ্যে রূপান্তর এবং বাজার ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপের সমন্বয়ক আশিকুর রহমান রুপক ও আইডিয়া প্রকল্পের কনসালটেন্ট মোহাম্মদ দেওয়ান আদনান।

প্রথম দিনে কয়েকটি সেশনে অনুষ্ঠিত হয় এ কর্মশালা। যেখানে অংশগ্রহণ করা দলগুলোকে নিজ নিজ উদ্যোগ নিয়ে সফলতার সঙ্গে পিচিং এর জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। জাতীয় পর্যায়ে আয়োজিত এমন স্টার্টআপ ক্যাম্প নিয়ে উচ্ছ্বসিত অংশগ্রহণকারীরাও।

বুধবার অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তা দলগুলোকে আরো কিছু বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান ও নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার সময় দেওয়া হবে। শেষ দিন বৃহস্পতিবার পিচিং রাউন্ড শেষে বিচারকদের ভোটে বাছাই করা হবে মূল প্রতিযোগিতার শীর্ষ ৩০ স্টার্টআপ। পরে জাতীয় পর্যায়ে সেরা ১০ উদ্ভাবনী ভাবনা বা স্টার্টআপ নির্বাচন করবেন ‘আইডিয়া’ প্রকল্পের বাছাই কমিটি এবং অন্যান্য বিচারকরা।

প্রথম অধ্যায়ে ৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ প্রতিযোগিতা হলেও আগামীতে তা দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজন করা হবে। এমনকি বড় বড় কলেজগুলোতেও ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ’ প্রতিযোগিতা আয়োজনের লক্ষ্য রয়েছে বলেও জানান আইডিয়া প্রকল্প পরিচালক।

সারাদেশ থেকে প্রায় ২ হাজারের বেশি তরুণ উদ্যোক্তা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইয়াং বাংলার ক্যাম্পাস অ্যাম্বাসেডরদের সহায়তায় পরিচালিত প্রতিযোগিতা থেকে বিজয়ী দল বাছাই করা হয়। পিচিং রাউন্ডে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩টি উদ্যোক্তা দল নির্বাচিত হয় জাতীয় স্টার্টআপ ক্যাম্পের জন্য।

আরও পড়ন: ইরানের কাছে সৌদি জাহাজে হামলা, উত্তেজনা

উল্লেখ্য, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকে যুক্ত করার মধ্য দিয়ে জাতীয়ভাবে ইনোভেশন কালচার, স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম এবং এন্ট্রাপ্রেনরিয়াল সাপ্লাই চেইন গড়ে তোলার লক্ষে কাজ শুরু করে আইসিটি বিভাগের ‘ইনোভেশন ডিজাইন অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনারশিপ একাডেমি -আইডিয়া’ প্রকল্প। আর ২০১৮ সালের ১৫ মার্চ, সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ‘ইয়াং বাংলা’ এ প্রকল্পের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি সাক্ষর করে। এ সমঝোতা স্মারকের আলোকে আয়োজন করা হলো ‘স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ’ প্রথম অধ্যায়।

ইত্তেফাক/কেকে

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন