বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে চাকরির ইন্টারভিউ দেবে প্রতিবন্ধীরা

আপডেট : ২৫ জুন ২০১৯, ০৩:৫৯

তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রতিবন্ধীদের দেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, প্রতিবন্ধী ভাইবোনেরা অক্ষম নন বিশেষভাবে সক্ষম। প্রতিবন্ধীরা দেশের বোঝা নয় সম্পদ। তিনি বলেন, যারা বিশেষভাবে সক্ষম তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আইসিটিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষ করে তুলতে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। তিনি সক্ষমদেরকে বিশেষভাবে অক্ষমদের প্রতি আরো সচেতন ও যত্নবান হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রতিমন্ত্রী আজ গ্রিন রোডে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও এশিয়া প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে ‘যুব প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য জাতীয় আইটি প্রতিযোগিতা-২০১৯’-এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

এসময় পলক বলেন, আগে সমাজে প্রতিবন্ধীদের যে দৃষ্টিতে দেখা হতো সেই সুযোগ এখন আর নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সুযোগ্য কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নেতৃত্বে বিগত ১০ বছরে এদেশের মানুষ সচেতন হয়েছে। প্রতিবন্ধীদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে ২০১৩ সালে ‘প্রতিবন্ধী সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সমাজে তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তারাও ঘরে বসে নেই। নিজ নিজ মেধা ও সামর্থ্য দিয়ে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অবদান রেখে চলেছেন।

তিনি আরো বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য অনলাইন জব পোর্টাল করা হবে। তারা যেন অনলাইনে তথ্য আদান-প্রদান বিশেষ করে যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করতে পারেন এবং ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে এবং নিতে পারেন। যেখান থেকে যে কোনো স্থানের চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে চাকরিদাতার যোগাযোগ হবে।

প্রতিবন্ধীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চাকরির ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান পলক। তিনি বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর ৭টি আঞ্চলিক কার্যালয়ে প্রায় ৩ হাজার প্রতিবন্ধী তরুণ-তরুণীর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। আগামী পাঁচ বছরে আইসিটি খাতে ১০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে যার অন্তত ১ শতাংশ হবে প্রতিবন্ধীর।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক-এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী, বিসিসি-এর নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেবসহ আইসিটি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ বক্তৃতা করেন।

এরপর দেশের বিভিন্ন জেলার আইটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ১০০ প্রতিযোগী থেকে চারটি ক্যাটাগরিতে তিন জন করে ১২ জন বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়।

ইত্তেফাক/আরকেজি

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন