বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ইঁদুরের ডিএনএ থেকে এইচআইভি অপসারণ এবার কি মানুষের পালা

আপডেট : ০৪ জুলাই ২০১৯, ০৮:৩৮

 

এইচআইভির চিকিৎসায় নানাবিধ অগ্রগতি হলেও এখনো এই ভাইরাস থেকে পরিত্রাণের কোনো ওষুধ আবিষ্কার করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। তবে এইচআইভি চিকিৎসায় বিজ্ঞানীরা নতুন এক সম্ভাবনা দেখছেন। একদল গবেষক ইঁদুরের ডিনএনএ থেকে এইচআইভি ভাইরাস অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছেন। ইঁদুরের ডিএনএ থেকে এইচআইভি অপসারণ করার পর বিজ্ঞানীরা স্বপ্ন দেখছেন একই পদ্ধতিতে যদি মানুষের ডিএনএ থেকেও এইচআইভি ভাইরাসকে দূর করা যায় তাহলে যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন করবে মানবজাতি। টেম্পল ইউনিভার্সিটির লুইস কাটজ স্কুল অব মেডিসিন এন্ড ইউনিভার্সিটি অব নেবরাস্কা মেডিক্যাল সেন্টারের এই সাফল্যের কথা মঙ্গলবার ছাপা হয়েছে ন্যাচার কমিউনিকেশনস জার্নালে।

বর্তমানে এইচআইভির চিকিৎসায় আক্রান্ত ডিএনএ থেকে এইচআইভি ভাইরাসকে পুরোপুরি অপসারণ করা সম্ভব হয় না। এখন মূলত এন্টারট্রোভাইরাল থেরাপির (এআরটি) মাধ্যমে মানবদেহে থাকা এইচআইভিকে ছড়িয়ে পড়া থেকে বিরত রাখা হয়। তবে তা মানবদেহের ডিএনএ তে সারাজীবন ধরেই থেকে যায়। যেকোন সময় সঙ্গীর সঙ্গে অনিরাপদ যৌন সম্পর্ক করলে সঙ্গীর শরীরেও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে সেই ভাইরাস। কিন্তু নেবরাস্কা মেডিক্যাল সেন্টারের বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় ডিএনএ থেকে এইচআইভিকে পুরোপুরি অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছেন, যদিও এখন পর্যন্ত সেটি ইঁদুরের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। কিন্তু ইঁদুরের ক্ষেত্রে পাওয়া এই সাফল্যই বিজ্ঞানীদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে যে, এই পদ্ধতিতেই হয়তো মনুষের ডিএনএ থেকেও একটি এইচআইভি ভাইরাসকে অপসারণ করে রোগমুক্ত করা সম্ভব হবে। অবসান ঘটবে এইডস অধ্যায়ের।

গবেষণা দলের সহযোগী গবেষক কামেল খলিলি বলেন, ডিএনএকে এইচআইভি ভাইরাস মুক্ত করতে বিজ্ঞানীরা জিন সম্পাদনা প্রযুক্তিকে কাজে লাগান। এই পদ্ধতিতে সিআরআইএসপিআর-সিএএস৯ নামে ডাকা হয়। জিন সম্পাদনা পদ্ধতিতে জিনের মধ্যে থাকা এইচআইভিযুক্ত ক্রোমোজোমকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডের জয়ে চুকে গেল সেমিফাইনালের হিসাবনিকাশ!

বর্তমান বিশ্বে ৩ কোটি ৭০ লাখের বেশি মানুষ এইচআইভিতে আক্রান্ত। প্রতিবছর সারা বিশ্বে আনুমানিক ১৮ থেকে ২০ লাখ মানুষ নতুন করে এইচআইভি সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন। এইচআইভি ভাইরাস মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পুরোপুরি নষ্ট করে দেয়। ফলে নানা সংক্রামক রোগ ও কয়েক রকম ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে রোগী মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ে। তাই নতুন এই চিকিত্সা পদ্ধতি মানুষের ক্ষেত্রে কার্যকর হলে বড় ধরনের বিপর্যয়ের হাত থেকে মুক্তি পাবে বিশ্বের কোটি মানুষ।-সিএনএন

ইত্তেফাক/আরকেজি

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন