শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কে এই দীপক আগারওয়াল!

আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:২৬

ক্রিকেট বিশ্বের কাছে এই মুহূর্তে এক রহস্যময় চরিত্র হলেন দীপক আগারওয়াল। তার সঙ্গেই হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাটিং করে ফেঁসে গেছেন সাকিব আল হাসান। যদিও বাজিকরদের দুনিয়ায় তিনি মোটেও অপরিচিত কেউ নন। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ অনেকবারই তার নাম উচ্চারিত হয়েছে।

কে এই দীপক আগারওয়াল? তিনি হলেন কালো তালিকাভুক্ত এক ভারতীয় ক্রিকেট জুয়াড়ি। স্পট ফিক্সিংয়ের জগতে ‘সুপরিচিত’ এই মুখকে অনেক দিন হলো চোখে চোখে রেখেছে আইসিসিরি দুর্নীতি দমন বিভাগ (আকসু)। কারণ আন্তর্জাতিক কিংবা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সব বিভাগেই তিনি অনেকবারই স্পট ফিক্সিংয়ের চেষ্টা করেছেন।

প্রথমে তার নাম শোনা যায় ২০১১ সালের এপ্রিলে। সেবার ক্রিকেট জুয়ার সঙ্গে জড়িয়ে দুই জন আত্মহত্যা করেন। একজন হলেন ২৫ বছর বয়সী আশীষ কান্টালিয়া। আরেকজন ছিলেন বিজয় কুমার। উদয়পুরের ঘণ্টাঘরে নিজের বাড়িতে তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। ২৯ বছর বয়সী বিজয় ক্রিকেটার ছিলেন।

যাওয়ার আগে একটা সুইসাইড নোট লিখে গিয়েছিলেন। সেখানে জানিয়েছিলেন, এক বাজিকরের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন। ধার শোধ করতে পারছিলেন না, হুমকি-ধমকি পাচ্ছিলেন। আর সেসব সহ্য করতে না পেরেই মৃত্যুকে বরণ করে নেন। উদয়পুর পুলিশের তখনকার অতিরিক্ত এসপি তেজরাজ সিং গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, এই বাজিকর আর কেউ নন, স্বয়ং দীপক আগারওয়াল।

প্রচণ্ড ধুরন্ধর এই লোকের ছায়া পড়েছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (আইপিএল)। সেটা ২০১৩ সালের ঘটনা। বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) সভাপতি তখন এন শ্রীনিবাস। সেই সময়েই ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়ানোয় গ্রেফতার করা হয় শ্রীনিবাসেরই জামাতা গুরুনাথ মায়াপ্পানকে। আরো গ্রেফতার হন বলিউডের অভিনেতা বিন্দু দারা সিং। দুজনকেই জেরা করে নাকি ঘটনাগুলোর সঙ্গে এই আগারওয়ালের সম্পৃক্ততার কথা জানা যায়।

আরো পড়ুন: সাকিব আরো শক্তিশালী হয়ে ফিরবে : শিশির

২০১৭ সালের এপ্রিলে ভারতের রায়গড় থেকে তিনি আরো দুজনসহ গ্রেফতারও হয়েছিলেন। জেল হয়েছে। যদিও ছাড়া পেয়েই আবার পুরনো ব্যবসায় মন দেন। একপর্যায়ে তার চোখ যায় সাকিবের দিকে। বাকি ফলাফলটা তো সবারই জানা।

কেউ কেউ দাবি করেন, এই মানুষটার আরেক নাম নাকি বিক্রম আগারওয়াল। জুয়ার আড়ালে হোটেল ব্যবসা করেন। চেন্নাইয়ে তার দুটি পাঁচ তারকা হোটেল থাকারও খবর পাওয়া গেল। হোটেল ব্যবসা করেই ব্যবসায়ী দুনিয়ায় প্রবেশ করেন। সেখান থেকে হুট করে আরো বেশি আর্থিক মুনাফার আশায় ক্রিকেট জুয়ার দুনিয়ায় পা রাখেন। আর যত দিন যাচ্ছে, দীপকদের মতো জুয়াড়িদের প্রভাব ততই বাড়ছে!

ইত্তেফাক/এমআর