বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

তামিম-পেরেরার নৈপুন্যে প্রথম জয় মাশরাফির ঢাকার

আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ২৩:১৪

দুই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও শ্রীলংকার থিসারা পেরেরার দুর্দান্ত ব্যাটিং নৈপুন্যে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেটে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই জয়ের ধারায় ফিরলো মাশরাফি বিন মর্তুজার ঢাকা প্লাটুন। আজ টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ ম্যাচে ঢাকা ২০ রানে হারিয়েছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সকে। অন্য দিকে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জিতলেও দ্বিতীয় ম্যাচে হারের স্বাদ পেলো কুমিল্লা।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং বেছে নেয় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। ব্যাট হাতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারায় ঢাকা প্লাটুন। আফগানিস্তানের মুজিব উর রহমানের বলে লেগ বিফোর ফাঁদে পড়ে খালি হাতে ফিরতে হয় তাকে ঢাকার এনামুল হক বিজয়কে।

এরপর উইকেটে গিয়ে বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন তিন নম্বরে নামা মেহেদি হাসান। ১২ রানে ফিরেন তিনি। অন্য প্রান্তে ব্যক্তিগত ৪ রানে জীবন পেয়ে সর্তক অবস্থায় ছিলেন ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। তার ক্যাচ ফেলেন কুমিল্লার সৌম্য সরকার। ইংল্যান্ডের লরি ইভান্সকে নিয়ে ধীরলয়ে এগোতে থাকেন তামিম। উইকেট সেট হয়ে যাবার পর মারমুখী হন তিনি। তবে ব্যক্তিগত ৪৩ রানে আবারো জীবন পান তামিম। এবার তামিমকে জীবন দেন ইংল্যান্ডের ডেভিড মালান। পরে ৪০ বলে নিজের হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই বাঁ-হাতি।

বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তোলেন ইভান্স। তবে ২ বাউন্ডারিতে ২৪ বলে ব্যক্তিগত ২৩ ও দলীয় ১০১ রানে আউট হন তিনি। তার আউট কুমিল্লার জন্য দুঃস্বপ্ন বয়ে আনে। উইকেটে গিয়ে চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি ফুটান শ্রীলংকার এই তারকা ক্রিকেটার। ১৬তম ওভারে কুমিল্লার আবু হায়দারের শেষ পাঁচ বলে ১টি ছক্কা ও চারটি চার মারেন পেরেরা।

পেরেরার মারমুখী মেজাজ দেখে প্রতিপক্ষের বোলারদের ওপর চড়াও হন তামিমও। ফলে ১৫ ওভার শেষে যেখানে রান রেট ছিলো ৭-এর সামান্য বেশি সেখানে ঢাকার ইনিংস শেষে রান রেট ৯। কারন মাত্র ১৭ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় অপরাজিত ৪২ রান করেন পেরেরা। আর তামিম ৬টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫৩ বলে করেন ৭৪ রান। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮০ রানের বড় সংগ্রহ পায় ঢাকা। কুমিল্লার অধিনায়ক শ্রীলংকার দাসুন শানাকা ও সৌম্য সরকার ২টি করে উইকেট নেন।

জয়ের জন্য ১৮১ রানের বড় টার্গেটে খেলতে নেমে ঝড়ো গতিতে শুরু করে কুমিল্লা। শ্রীলংকার বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান ভানুকা রাজাপাকসে চার-ছক্কার বন্য বইয়ে দেন । ফলে প্রথম ১৬ বলেই ৩২ রান পেয়ে যায় দল। ইনিংসের ১৭তম বলে ২৯ রান করা রাজাপাকসেকে সনাসরি বোল্ড করেন অধিনায়ক মাশরাফি। ১২ বলের ইনিংসে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় হাকান রাজাপাকসে।পরের ওভারে আউট হন আরেক ওপেনার ৩ রান করা ইয়াসির আলি।

এরপর দলের হাল ধরে ৪১ বলে ৫০ রানের জুটি গড়েন সৌম্য সরকার ও মালান। দ্রুত রান তুলতে থাকা সৌম্যকে থামিয়ে ঢাকাকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন পাকিস্তানের পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৬ বলে ৩৫ রান করেন সৌম্য।
সৌম্যর বিদায়ের পর ১২তম ওভারে কুমিল্লার মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেন পেরেরা। সাব্বির রহমানকে ৪ ও আগের ম্যাচে ব্যাট হাতে সেরা পারফরমার অধিনায়ক শানাকাকে শুন্য রানে আউট করেন পেরেরা।

১২তম ওভারের পর মালান ৪০ ও উইকেটরক্ষক মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৩৭ রান করে কুমিল্লার হার রুখতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬০ রান করে কুমিল্লা। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হওয়া ঢাকার পেরেরা ৩০ রানে নেন ৫ উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

ঢাকা প্লাটুন : ১৮০/৭, ২০ ওভার (তামিম ৭৪, পেরেরা ৪২*, সৌম্য ২/৩৯)।
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স : ১৬০/৯, ২০ ওভার (মালান ৪০, মাহিদুল ৩৭, পেরেরা ৫/৩০)।
ফল : ঢাকা প্লাটুন ২০ রানে জয়ী।

ইত্তেফাক/এস আর