ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় দেশব্যাপী শুরু হয়েছে 'পিকেসিএসবিডি ক্রিকেট ট্যালেন্ট হান্ট' কার্যক্রম। 'মাদক নয়, স্বপ্নের ভবিষ্যৎ গড়বো ক্রিকেটে’ এই শ্লোগানে কার্যক্রমটি বাসত্মবায়ন করছে ট্যালেন্ট স্পোর্টস লিমিটেড।
সমগ্র বাংলাদেশের ধারাবাহিকতায় ০১ জানুয়ারি ২০২০ থেকে ঢাকা মহানগর সহ ঢাকা জেলায় শুরু হতে যাচ্ছে ট্যালেন্ট হান্টের এই কার্যক্রম। এই উপলক্ষে ২৯ ডিসেম্বর ঢাকা জেলার, জেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে 'পিকেসিএসবিডি ক্রিকেট ট্যালেন্ট হান্ট' বাস্তবায়ন সম্পর্কিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও বিভিন্ন থানা এবং উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ক্যাম্পেইন ও রেজিষ্ট্রেশনের দায়িক্তপ্রাপ্ত ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট পিএমসি গ্লোবাল ও থ্রি হুইলারস ইভেন্ট।
এই বিষয়ে ঢাকা জেলা শিক্ষা অফিসার মো. বেনজীর আহম্মদ বলেন, ‘বর্তমান সরকার তরুণ ও কিশোরদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এরমধ্যে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সহযোগিতায় এই কার্যক্রমটি রয়েছে।এই ট্যালেন্ট হান্ট কার্যক্রমটি শিক্ষার্থীদের মাদক থেকে দ–রে রাখতে একটি বড় ভূমিকা পালন করবে। বর্তমান সময়ের কিশোররা 'কিশোর গ্যাং' এর মত যে ধরনের বিপদগামী বিনোদন বেছে নিচ্ছে সেগুলো থেকে দ–রে রাখতেও এই ট্যালেন্ট হান্ট কার্যক্রমটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আমার বিশ্বাস।আমি সাধুবাদ জানাই ট্যালেন্ট স্পোর্টস লিমিটেডকে যারা এই কার্যক্রমটি বাসত্মবায়ন শুরম্ন করেছে। আশা করি তাদের মধ্য দিয়ে আমরা বেশ ভালো একটি কাজের মধ্য দিয়ে এগোচ্ছি। আমি সকল কিশোরদের আহ্বান জানাবোতারা যেনো এই সুযোগের মধ্য দিয়ে নিজের মেধা প্রকাশের দিকে অগ্রগামী হয়। ঢাকা জেলার সকল থানা ও উপজেলার সকল শিড়্গা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের আহবান জানাচ্ছি,ক্রিকেট খেলায় আগ্রহী ছাত্রদের উত্সাহিত করম্নন এবং সকল প্রতিষ্ঠান থেকে এই প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করুন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ট্যালেন্ট স্পোর্টস লিমিটেডেরব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল মাহমুদ সৈকত। তিনি এই কার্যক্রম প্রসঙ্গে বলেন, ‘জাতীয় ক্রিকেট দলের সফলতার জন্য আমাদের এই ছোট দেশটিকে বিশ্বের অনেক দেশ একনামে চিনে। এক সময় যখন আমাদের ক্রিকেট প্রেমীরা তাদের ঘরে শচীন টেন্ডুলকার বা শোয়েব আক্তারের পোস্টার টাঙাতেন আজ সেখানে আমাদের সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মর্তুজা, মুসত্মাফিজসহ অনেকের ছবি গর্ববোধে সযত্নে রাখেন। একদল ক্রিকেটার যখন এই ‘ট্যালেন্ট হান্ট’ থেকে উঠে এসে আগামী দিনের সাকিব বা মুস্তাফিজ হবে আপনাদের আজকের পরিশ্রম সেই দিন স্বার্থক হবে। আমি কৃতজ্ঞ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি। তার সরকারের মাধ্যমে ট্যালেন্ট স্পোর্টস লিমিটেড এই কাজটি করার সুযোগ পেয়েছে। নতুন বছরের প্রথম থেকেই ঢাকা জেলায় এই কার্যক্রম শুরম্ন হতে যাচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি 'পিকেসিএসবিডি ক্রিকেট ট্যালেন্ট হান্ট' কার্যক্রমের মাধ্যমে ঢাকাসহ সারাদেশের হাজার হাজার ক্ষুদে ক্রিকেটার তাদের প্রতিভা প্রকাশ ও বিকাশের সুযোগ পাবে। সকল পর্যায়ের ক্ষুদে ক্রিকেটারদের পরিণত ক্রিকেটার হওয়ার পথে এই ‘ট্যালেন্ট হান্ট’ই হতে পারে সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম।'
৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ১২ বছর থেকে ১৯ বছর বয়সী ছাত্ররা এই ‘ট্যালেন্ট হান্ট’ এ অংশগ্রহণ করতে পারবে।
সারাদেশের ৮ বিভাগের ৬৪ জেলার ৪৯২ টি উপজেলায় একযোগে চলছে উপজেলা ও জেলা রাউন্ডের ট্যালেন্ট বাছাই। জেলা রাউন্ড শেষে বিভাগ ও জাতীয় রাউন্ডের ট্যালেন্ট বাছাইয়ের মাধ্যমে শেষ হবে এই কার্যক্রম। এই ট্যালেন্ট হান্ট এর বিভাগীয় এবং জাতীয় রাউন্ড শেষে বিভিন্ন বয়সের চমকপ্রদ কিছু ক্রিকেটার পেতে পারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটারদের সমন্বয়েবাছাই প্যানেল 'পিকেসিএসবিডি ক্রিকেট ট্যালেন্ট হান্ট' কার্যক্রমে উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও জাতীয় রাউন্ডের বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন করবে।
ইত্তেফাক/আরএ