শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

নাঈমের ঘূর্ণিতে চাপে জিম্বাবুয়ে

আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৩:৪৭

 দুই উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়েকে চাপের মুখে ফেলে দিয়েছেন তরুণ স্পিনার নাঈম হাসান। বাংলাদেশের হয়ে জিম্বাবুয়ের শিবিরে প্রথম আঘাত হেনেছিলেন আবু জায়েদ । দলীয় ৭ রানে জিম্বাবুয়ের ওপেনার কেভিন কাসুজা আবু জায়েদের বলে নাঈম হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।এরপর থেকে লাঞ্চ পর্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যেই খেলছিলেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটসমান পিটার  মাসভৌরে  এবং অধিনায়ক ক্রেগ এরভাইন। তবে লাঞ্চের পর নাইম হাসানের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে ফিরে যান হাফ সেঞ্চুরিয়ান পিটার মাসভৌরে ।  ব্যক্তিগত ৬৪ রানে ফেরেন তিনি। নিজের পরের ওভারে জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেইলরকেও ১০ রানে ফেরান নাঈম।  এদিকে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেইগ এরভাইনও। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের শেষ সংগ্রহ তিন  উইকেটে হারিয়ে ১৩৪ রান।

সিরিজের একমাত্র টেস্টের জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সর্বশেষ ছয়টি টেস্ট ম্যাচেই হারের লজ্জা পেয়েছে। এরমধ্যে পাঁচটি ছিলো ইনিংস ব্যবধানে হার। কোন রকম প্রতিন্দ্বন্দিতা ছাড়াই ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ তিন টেস্টেই ইনিংস ব্যবধানে হারে টাইগাররা। আফগানিস্তানের মতো নবীন দলের বিপক্ষেও টেস্টে হারের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ।

দলের এমন পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার জন্য জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের বিকল্প দেখছেন না মুমিনুল হক। কথা দিলেন দলের হয়ে কেউ কেউ না বড় ইনিংস খেলবে। তবে জিম্বাবুয়েকে যতোটা সহজ মনে হচ্ছে ততোটা নাও হতে পারে। কারণ সদ্যই দেশের মাটিতে শ্রীলংকার বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজে দারুণ প্রতিন্দ্বন্দ্বিতা করেছে জিম্বাবুয়ে। ১-০ ব্যবধানে সিরিজ হারলেও, জিম্বাবুয়ের লড়াকু মনোভাব ছিলো চোখে পড়ার মতো।

দু’দল এখন অবধি ১৬ টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে সাতবার জয় পায় জিম্বাবুয়ে। ছয়বার জিতেছে বাংলাদেশ। বাকি তিন ম্যাচ ড্র’তে শেষ হয়।

ইত্তেফাক/এআর