শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

তাইজুলের ঘুর্ণিতে থাকল ফলোঅনের সুযোগ

আপডেট : ১৩ নভেম্বর ২০১৮, ১৮:২১

তাইজুলের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৩০৪ রানে প্রথম ইনিংস শেষ করল জিম্বাবুয়ে। প্রথম ইনিংসে ২১৮ রানে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশের সামনে এখন সুযোগ থাকল জিম্বাবুয়েকে ফলোঅন করানোর। টানা দ্বিতীয়বার সফরকারীদের ব্যাট করতে পাঠানো হবে কি না, বুধবার খেলার চতুর্থ দিন সকালে সেই সিদ্ধান্ত নেবেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। 

মিরপুর স্টেডিয়ামে আগের দিনের এক উইকেটে ২৫ রান নিয়ে মঙ্গলবার তৃতীয় দিনে ফের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং শুরু করে জিম্বাবুয়ে। তবে দিনের শুরুতে তারা খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। মাত্র ১৩১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় দলটি। যার চারটিই নেন তাইজুল। 

সেখান থেকে দলকে দারুণভাবে বের করে আনেন ব্রেন্ডন টেলর ও পিটার মুর। ষষ্ঠ উইকেটে এ দুজন ১৩৯ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন। এরপর দলীয় ২৭০ রানে মুর ৮৩ রান করে আউট হলেও সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন টেলর। সেঞ্চুরি করলেও টেলর দলীয় ২৯০ রানে আউট হয়ে যান। এর আগেই ১৯৪ বল থেকে ১০টি চারের মারে তিনি করেন ১১০ রান।

দলীয় স্কোরে আর কোনো রান যোগ হওয়ার আগেই ফিরে যান ব্রেন্ডন মাভুতা। আর সবশেষ দলীয় ৩০৪ রানে রেগিস চাকাভার উইকেটটি নেন তাইজুল। তখনও টেন্ডাই চাতারার উইকেট হাতে ছিল জিম্বাবুয়ের। তবে চোট পাওয়ায় তিনি মাঠে নামেননি। এতে ৩০৪ রানেই দলটির প্রথম ইনিংসের পরিসমাপ্তি ঘটে। আরও ১৫ বল বাকি থাকলেও আম্পায়ারদ্বয় দিনের খেলার ইতি টানেন। 

এখন বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে নামবে নাকি জিম্বাবুয়েকে আগে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে পাঠাবে বুধবার সকালে সেই সিদ্ধান্ত নেবেন মাহমুদউল্লাহ। সেই সিদ্ধান্তের পরই আগামীকাল শুরু হবে চতুর্থ দিনের খেলা। 

বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তাইজুল ১০৭ রানে নেন ৫টি উইকেট। এছাড়া মেহেদি হাসান মিরাজ ৩টি ও আরিফুল হক নেন একটি করে উইকেট।  

এর আগে ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিন সোমবার বিকেলে ৭ উইকেটে ৫২২ রান করে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে মুমিনুল হক ১৬১ ও মুশফিকুর রহিম ২১৯ রানের একটি নান্দনিক ইনিংস খেলেন। এছাড়া মেহেদি হাসান মিরাজ ৬৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন।

প্রথম টেস্টে পরাজয়ের কারণে সিরিজের ফলাফল বাঁচাতে এই টেস্টে জয়ের বিকল্প নেই স্বাগতিক বাংলাদেশের সামনে। সিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্টে ১৫১ রানের বড় ব্যবধানে হারে স্বাগতিকরা।

ইত্তেফাক/কেআই