শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

খেলোয়াড়দের নিয়েই ভাবছে বিসিবি

আপডেট : ০৭ এপ্রিল ২০২০, ০৯:৪৩

ভর ক্রিকেট মৌসুমে একটার পর একটা হোম সিরিজ বাতিলের ফলে সবার আগে আর্থিক সংকটে পড়েছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। তারা এরই মধ্যে খেলোয়াড়দের বেতন সাময়িকভাবে কম নেওয়ার জন্য খেলোয়াড়দের সংগঠনের কাছে চিঠি দিয়েছে। সে তুলনায় ভালো অবস্থায় আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বললেন, এই সময়ে বাংলাদেশের বিপিএল বা এ রকম লাভজনক কোনো সিরিজ না থাকায় আপাতত তাদের আর্থিক বড়ো ধরনের ক্ষতি হবে বলে মনে হচ্ছে না। তবে আইসিসি ইভেন্ট বাতিল হয়ে তার জোর ধাক্কা লাগতে পারে বিসিবির গায়ে। তবে আপাতত সংকট দেখতে পাচ্ছে না প্রতিষ্ঠানটি। তারা বরং এখন খেলোয়াড়দের নিয়েই ভাবনায় ব্যস্ত থাকতে চায়।

ইসিবির আর্থিক সংকটের প্রসঙ্গেই নিজেদের অবস্থান বোঝাতে গিয়ে সুজন বলছিলেন, ‘আমাদের ভাগ্য একদিক থেকে ভালো বলতে হবে, এই সময়ে আমাদের বিপিএল বা ভারত-পাকিস্তানের সঙ্গে সিরিজের মতো কোনো আয়োজন ছিল না। এ রকম কিছু বাতিল হলে অবশ্যই বিরাট একটা ধাক্কা লাগতো। সেটা হয়নি বলে আপাতত আমাদের চিন্তার কারণ কম।’ তবে একেবারেই চিন্তা নেই, তা নয়। বিশেষ করে আইসিসির কোনো বিশ্বকাপ বাতিল হলে বিসিবির ওপর তার ধাক্কা এসে লাগবে। সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেটা বাতিল হলে বিরাট ক্ষতি হবে বিসিবিরও। সুজন পরিষ্কার করে বললেন, ‘আমাদের আয়ের একটা বড়ো অংশ আসে আইসিসির রেভিনিউ শেয়ার থেকে। আইসিসির এই আয়ে ধাক্কা লাগবে, যদি কোনো ইভেন্ট বাতিল হয়। সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আর তেমন হলে আমাদের আয়েও বড়ো ধরনের প্রভাব পড়বে।’ তবে এই মুহূর্তে অর্থ নয়, খেলোয়াড়দের সুস্থতা ও ফিটনেস নিয়ে বেশি ভাবিত বিসিবি। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির ফিজিও তাদের ওয়েবসাইটে খেলোয়াড়দের বাড়ি বসে করার জন্য কিছু ফিটনেস ট্রেনিং জানিয়ে দিয়েছেন। এটা বিভিন্ন দলের জন্য আলাদা আলাদা করে করা হচ্ছে। প্রতিনিয়তই এটা করা হতে থাকবে।

বিসিবির প্রধান নির্বাহী বলছিলেন, ‘খেলোয়াড়রা আমাদের প্রথম প্রায়োরিটি। আমাদের যত স্টেক হোল্ডার আছে, ওর মধ্যে তারা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তারা এখন বাসায় বসে আছেন। কিছু করতে পারছেন না। এই অবস্থায় আমরা তাদের সুস্থতা ও ফিটনেস নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তিত।’

সুজন বলছেন, তারা চান যে, খেলোয়াড়রা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই মাঠে ফেরার জন্য প্রস্তুত থাকুন। সেজন্যই ফিটনেস প্রোগ্রামগুলো দিচ্ছেন তারা, ‘আমরা চাই যে, যেদিনই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, সেদিনই যেন খেলোয়াড়রা মাঠে ফেরার জন্য প্রস্তুত থাকে। সেজন্য আমাদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ বিভিন্ন ফিটনেস প্রোগ্রাম ওয়েবসাইটে দিচ্ছেন। এটা নিয়মিত করা হবে। আশাকরি সবাই ভালো থাকবেন।’