বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ভারতকে হারানো বিশেষ কিছু : তামিম 

আপডেট : ০৩ জুন ২০২০, ০২:৩১

ভারতের বিপক্ষে একটা সময় বাংলাদেশের লড়াই করতে কষ্ট হতো। কিন্তু সেই দলটাকে এখন বাংলাদেশ নিয়মিত ব্যবধানেই হারিয়ে থাকে। দুই দলের খেলা এখন একটা লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল স্বীকার করলেন, এই দলটাকে হারানো একটা বিশেষ ব্যাপার।


ইএসপিএন ক্রিকইনফোতে সঞ্জয় মাঞ্জেরেকারের সঙ্গে কথোপকথনে তামিম ভারতকে হারানোর গুরুত্ব বলতে গিয়ে বলছিলেন, ‘ভারত এত শক্তিশালী একটা দল, এত বড়ো দল, ভারতের বিপক্ষে জয় মানে অন্য কিছু। আমার মনে হয় না, এটা ঘৃণা থেকে আসে বা এমন নয় যে ওদের হারাতেই হবে। ব্যাপারটা হলো, সেরা দলকে হারানোর তৃপ্তি। সেই ধরনের মানসিকতা। পাকিস্তানকে হারানোও বড়ো ব্যাপার। আসলে পাকিস্তান-ভারত অনেক বড়ো দল তারা, দীর্ঘ ঐতিহ্য তাদের। তাদের বিপক্ষে যে কোনো জয়ই বড়ো জয়।’

তামিম এই সাক্ষাত্কারে ফিটনেস নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। নিজে ফিটনেসের গুরুত্ব যে অনেক পরে বুঝেছেন, সেটা বলছিলেন, ‘খেলায় ফিটনেসের গুরুত্বটা বুঝতে অনেক সময় লেগেছে আমাদের। গত তিন-চার বছরে হয়তো আমরা বুঝতে পারছি যথেষ্ট ফিট থাকতে হবে, টিভিতে যেন ভালো দেখায়, বিশাল পেট নিয়ে যেন মাঠে নামতে না হয়।’

এ প্রসঙ্গেই তামিম ফিরে গেছেন ২০১০ সালে। যে বছর তিনি তুমুল ফর্মে ছিলেন, রান করেছেন দেশে ও দেশের বাইরে, পিঠেপিঠি দুর্দান্ত দুটি সেঞ্চুরি করেছেন ইংল্যান্ড সফরে। কিন্তু নিজেই জানালেন, ফিটনেস নিয়ে তার ধারণা ছিল বাজে, ‘তখন আমার মানসিকতা ছিল এরকম যে যতক্ষণ রান করছি, আমাকে কেমন দেখাচ্ছে, সেটা কোনো ব্যাপার নয়। খুব বাজে ধারণা ছিল আমার, এটা মেনে নিতে কোনো লজ্জা নেই। প্রথমত, আমার মনে হচ্ছিল আমি প্রচুর রান করছি। আসলে তা নয়। দ্বিতীয়ত, আমাকে বাজে দেখাচ্ছিল। এখন যদি আপনি ২০১৫ সালের আমাকে দেখেন, সেখান থেকে আমার ওজন ৯ কেজি কমেছে। ঐ সময়টায় ফিটনেস নিয়ে অনেক খাটতে শুরু করেছি আমি। কৃতিত্ব দিতে হবে আমাদের ট্রেনারকেও।’

ফিটনেস ভালো থাকার সুফল এখন খুব ভালোভাবে টের পান বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক, ‘ফিটনেস ভালো থাকার সুবিধা অনেক। ক্লান্তি অনুভব হয় কম। বলের কাছে দ্রুত যাওয়া যায়। মানসিকতা ইতিবাচক থাকে। সবচেয়ে ভালো ব্যাপার হলো, নিজেকে নিয়ে ভালো অনুভূতি কাজ করে সব সময়।’

ফিটনেসের ব্যাপারটা তিনি কোহলির কাছ থেকে শিখেছেন বলে বলছিলেন, ‘এটা বলতে কোনো লজ্জাই নেই যে আমার মনে হয় প্রকাশ করা উচিত, দুই-তিন বছর আগে যখন আমি বিরাট কোহলিকে দেখেছি জিমে কাজ করতে, রানিং ও অন্য সবকিছু, নিজেকে নিয়ে লজ্জা লাগত আমার। সত্যিই নিজেকে নিয়ে লজ্জা লাগত। মনে হতো, ‘এই ছেলেটি, সম্ভবত আমার বয়সীই, এই ধরনের কাজ করছে, এত ট্রেনিং করছে ও সাফল্য পাচ্ছে, আমি হয়তো তার অর্ধেকও করছি না। তার পর্যায়ে যেতে না পারি, অন্তত তার পথ তো অনুসরণ করার চেষ্টা করতে পারি। হয়তো তার ৫০ ভাগ, ৩০-৪০ বা ৬০ ভাগ, যেটাই হোক।’

ইত্তেফাক/ইউবি