বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বিদেশে ভালো করতে মুখিয়ে তাইজুল

আপডেট : ০১ জুলাই ২০২০, ১১:৩৫

টেস্ট বোলারের স্বীকৃতি তার নামের পাশে স্থায়ী হয়ে গিয়েছিল। সাদা বলে কদাচিত্ সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু থিতু হতে পারেননি তাইজুল ইসলাম। সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞা ও স্পিন কোচ হিসেবে ড্যানিয়েল ভেট্টোরির আগমন শাপেবর হয়ে আসে তাইজুলের জন্য। ভেট্টোরির কল্যাণে ওয়ানডে, টি-২০ তেও বাংলাদেশ দলে ফিরলেন এই বাঁহাতি স্পিনার।

নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়কের সঙ্গে নিজের বোলিং নিয়েও কাজ করেন তাইজুল। তখনই দেশের পাশাপাশি বিদেশের মাটিতে ভালো করার ক্ষুধাটা তেঁতে উঠে এই তরুণের। বরাবরই ঘরের মাঠে স্পিন সহায়ক উইকেটে বেশ কার্যকর তাইজুল। কিন্তু দেশের বাইরে ঘাসের উইকেট, ফ্ল্যাট উইকেটে সাদামাটা হয়ে পড়ে তার বোলিং। এই ঘাটতি কাটাতে মুখিয়ে ২৮ বছর বয়সি এই স্পিনার। যার কারণে ভেট্টোরির পরামর্শে বোলিং অ্যাকশনেও কিছুটা পরিবর্তন আনছেন তিনি।

সম্প্রতি এক ফেসবুক লাইভ অনুষ্ঠানে বোলিং অ্যাকশনে পরিবর্তন সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিদেশে ভালো করার তীব্র ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন তাইজুল। তিনি বলেছেন, ‘বিষয়টা একটু টেকনিক্যাল, বলে বুঝানো সহজ হবে না। আমাদের দেশে টার্নিং উইকেট হলে সাইড স্পিনটা কাজে আসে কারণ এটা হয় সোজা যাবে, না হলে একটু ঘুরবে। কিন্তু আমরা যখন ফ্ল্যাট উইকেট বা ঘাসের উইকেটে খেলব তখন টপ স্পিনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর সুবিধা হচ্ছে কোনটা ভেতরে আসছে বা কোনটা বাইরে যাচ্ছে এটা বোঝা কঠিন। এতে বাউন্স ভালো নেয় আর ফ্লাইটটা ভালো নেয়। বিশেষ করে বাইরের দেশে খেলতে গেলে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

বিদেশে ভালো করাই এখন তাইজুলের মূল টার্গেট। তিনি বলেছেন, ‘ভেট্টোরির সঙ্গে আমার এটাই কথা হয়েছে, সে বলেছে আমি দেশের জন্য পারফেক্ট আছি কিন্তু বাইরের জন্য আমাকে এটা শিখতে হবে। কারণ বিদেশের উইকেট হয় ফ্ল্যাট হয়, নাহলে হয় ঘাসের। এর জন্য অনেক কিছু বদলাতে হবে বা বদলাচ্ছিও। অ্যাকশনেও হালকা পরিবর্তন আসতে পারে বা ল্যান্ডিংয়েও পরিবর্তন আসতে পারে। হাতটা কোন দিক দিয়ে আসলে ভালো হবে এগুলো নিয়েই কাজ করছি।’

ভেট্টোরির সঙ্গে করা এই কাজের অনুশীলন করেছেন তাইজুল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোম সিরিজে নাকি এর প্রয়োগও করেছেন ম্যাচে। ২৯ টেস্টে ১১৪ উইকেট মালিক এই স্পিনার বলেছেন, ‘আমি করি নাই যে তা না, জিম্বাবুয়ের সঙ্গে টেস্টে করতে পারিনি। কিন্তু ওয়ানডেগুলো দেখলে বুঝতে পারবেন যে, আমি করেছি। রাতে বোলিং করেছি, ডিউ ছিল, তারপরও সাহস নিয়ে করেছি। আমার মনে হয়েছে আল্লাহর রহমতে সফল হয়েছি, অনেক ভালো হয়েছে। আমার লক্ষ্য ছিল প্রিমিয়ার লিগে এটাকে ভালোভাবে কাজে লাগানো। একটা ম্যাচ খেলার পরই সব বন্ধ হয়ে গেল, আরো ম্যাচ পেলে প্রস্তুতিটা আরো ভালো করে হতো।’