অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে। আর মাত্র একদিন গেলেই আবারও মাঠে গড়াচ্ছে ক্রিকেট। সাউদাম্পটনে টেস্ট খেলতে নামবে ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর ‘ঐতিহাসিক’ সেই ম্যাচের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সঙ্গী হচ্ছে তিন বছর পুরোনো এক সুখস্মৃতি।
২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে সর্বশেষ সফর করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হারে ক্যারিবিয়রা। তবে ঐ সিরিজে ক্যারিবিয়ানরা মনে রাখার মতো পারফরম করেছিল হেডিংলিতে। হেডিংলিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ৩২২ রানের টার্গেট শেষদিনের শেষ সেশনে স্পর্শ করে ম্যাচ জিতেছিল জেসন হোল্ডারের দল। শাই হোপের অপরাজিত ১১৮ রানের ওপর ভর করে ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে সিরিজে ১-১ সমতা আনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর ঐ টেস্টের স্মৃতিই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চলতি সফরে আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে মনে করছেন দলের কোচ ফিল সিমন্স।
বার্মিংহাম টেস্ট দিয়ে ২০১৭ সালের সফর শুরু করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ঐ টেস্ট ইনিংস ও ২০৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারে ক্যারিবিয়রা। অবশ্য পরের টেস্টে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হেডিংলিতে জয় তুলে সিরিজে সমতা আনে তারা। তবে লর্ডসে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট ৯ উইকেটে হারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয় ইংল্যান্ড।
এ সপ্তাহেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরু করছে ওয়স্ট ইন্ডিজ। সাউদাম্পটনে সিরিজের প্রথম টেস্টের আগে আত্মবিশ্বাসী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কারন ২০১৭ সালে হেডিংলি টেস্ট জয়, তাদের আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে বলে জানান সিমন্স।
‘দ্য ক্রিকেট’কে কোচ সিমন্স বলেন, ‘তিন বছর আগের ঐ সফরের প্রথম টেস্টে আমাদের পারফরমেন্স খুবই বাজে ছিল। আমার মনে হয় বেশিরভাগ সফরের শুরুটা এমনই হয়। তবে আমরা এটা নিশ্চিত করতে চেষ্টা করেছিলাম, খারাপ ম্যাচ যেন ভুলে যাই এবং ঘুড়ে দাঁড়াতে পারি। এবারও আমরা বিশ্বের অন্যতম সেরা টেস্ট দলের বিপক্ষে খেলছি। আমাদেরকে এগিয়ে থেকে শুরু করতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি হেডিংলি টেস্টের স্মৃতিচারণ করতে এবং মানসিকভাবে ঠিক থাকতে। ঐ টেস্টের স্মৃতি আমাদের সাহস দিচ্ছে।’
খেলোয়াড়দের মানসিক প্রস্তুতিতে জোর দিচ্ছেন কোচ। তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ডে টেস্ট খেলতে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকাটাই বড় বিষয়। কারণ এখানে খেলা অন্য অনেক জায়গার চেয়ে আলাদা। আগামী তিন দিন আমরা নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে আরো কাজ করব। কিন্তু মানসিকভাবে শক্ত থাকাটা খুবই জরুরি।’