শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন দেখেন মারিয়া মান্ডা

আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২০, ০৫:৩৩

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা স্বপ্ন দেখেন এক সময় বাংলাদেশ ফুটবল দল নারী বিশ্বকাপে খেলবে। তারা ফুটবলের অগ্রদূত হয়ে দেশের পতাকা এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। মারিয়া মান্ডা মনে করেন যেখানে নারী ফুটবল এগিয়ে চলছে এই ধারা অব্যাহত রাখা গেলে নারী বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ আসবে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ নারী ফুটবল বিশ্বকাপ ফুটবলে খেলবে। কথাটা কি বেশি বড় হয়ে গেল না।

কি ভেবে এমন স্বপ্ন দেখেন মারিয়া। এশিয়ার ফুটবলে খেলেছেন মারিয়া। দেখেছেন অস্ট্রেলিয়া, জাপান, কোরিয়া, চীনসহ নানা দেশের ফুটবল শক্তি। তারা অনেক উন্নত। সুযোগ-সুবিধা যা কিছু আছে সবই তারা পাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের মতো পিছিয়ে থাকা দেশের খেলোয়াড়দের বিপক্ষে লড়াই করতে গিয়ে এই সব দেশের নারী ফুটবলাররা মারিয়া মান্ডা, সানজিদাদের তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে পারেননি। অথচ শারীরিক গঠন, শক্তি আর শারীরিক সামর্থ্যের দিক হতে বাংলাদেশের মেয়েরা অনেকটাই পিছিয়ে। আছে মনোবল আর ফুটবল মেধা এবং হার না মানা অদম্য সাহস। এই তিনটি পুঁজি করে মারিয়া মান্ডারা দেশের ফুটবলে অনেক উপহার দিয়েছেন। ভালো খেলে দেশের ফুটবল দর্শকদের মন জয় করেছেন। মারিয়া মনে করছেন ভালো খেলার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে উন্নয়নের সিঁড়িতেই থাকবেন তারা।

মারিয়া বললেন, ‘আমরা ভালো খেলতে পারলে বিশ্বকাপে খেলব।’ মারিয়া চাইলেন একটু আধুনিক প্রশিক্ষণ। যেভাবে পেয়ে আসছিলেন। বাফুফে ভবনে তাদের ফুটবল ক্যাম্পে পুরো জীবনটাই বদলে গিয়েছিল। বাসায় চিরায়িত খাবার-দাবারের চেয়ে ফুটবলীয় শরীর গঠনে ভাত খাওয়ার অভ্যাস একেবারেই হারিয়েই যাচ্ছিল। কঠোর অনুশীলন নতুন জীবন আর স্বপ্ন দেখায় কীভাবে আরো এগিয়ে যাওয়া যায়। সবকিছু স্বাভাবিক চলছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে জীবন থমকে গেলেও এখন আবার নতুন উদ্যোমে চলছে অনুশীলনের চাকা। ঘরে বসেই চলছে অনুশীলন। মাঠে গিয়ে জগিং স্ট্রেচিং, ফিটনেস ট্রেনিং করে যতোটা প্রস্তুত রাখা যায়।

কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন ঢাকা হতে ট্রেনিংয়ের মন্ত্র দিচ্ছেন। কীভাবে প্রস্তুত রাখলে দ্রুত কাভার করা যাবে তা দেখিয়ে দিচ্ছেন ছোটন। কাজ দিয়ে সেটা আদায় করেও নিচ্ছেন ছোটন। ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার কলসিন্দুরের মেয়ে মারিয়া মান্ডা। করোনার কারণে আবাসিক ক্যাম্প বন্ধ হয়ে যায়। লিগে খেলছিলেন সেটা বন্ধ হয়ে গেলে বাড়ি চলে যান। বলছিলেন বাসায় মায়ের কাজে সময় দেন। সঙ্গে এটাও যোগ করলেন,‘নারী ফুটবল লিগ হলে আমরা পরিবারে আরো সহযোগিতা করতে পারব।’

ইত্তেফাক/এসআই