করোনা ভাইরাসের কারণে কাঁপছে গোটা পৃথিবী। তবে হাতে গুনা যে কয়েকটি দেশে অদৃশ্য এই ভাইরাসের আক্রমন সবচেয়ে বেশি হচ্ছে তার মধ্যে ভারতও রয়েছে। তাই নিজ দেশে না করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইপিএলের ১৩ তম আসর আয়োজনের করতে সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছিলো বিসিসিআই। নানা জল্পনা-কল্পনার পর এবার সেই অনুমতি পেলো ক্রিকেট বোর্ডটি। ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু হবে খেলা। ফাইনাল হবে ১০ নভেম্বর। খেলা হবে দুবাই, আবুধাবি ও শারজার তিনটি ভেন্যুতে।
করোনা মহামারির কারণে বেশ কিছু ক্রীড়া আসর মাঠে ফিরলেও ছিলো না কোন দর্শক ঢুকার অনুমতি। তবে আইপিএলের চমক হিসেবে গ্রুপ পর্বের কোনো ম্যাচে দর্শক না থাকলেও পরের পর্ব থেকে দর্শক থাকতে পারে। আর চীনের সঙ্গে ভারতের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থাকার পরও, চীনা মোবাইল কোম্পানিই থাকছে আইপিএলের টাইটেল স্পন্সর হিসেবে।
অবশেষে কেটে গেল শঙ্কা। প্রকাশিত হল ২০২০ আইপিএল এর চূড়ান্ত দিনক্ষণ আর নীতিমালা। খসড়া প্রস্তাব আগেই প্রেরণ করা হয়েছিল। শুধু বাকি ছিল সরকারের অনুমতি। সেখানেও সবুজ সংকেত মিলেছে। ভারতে নয়, করোনার কারণে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হবে বিশ্বের অন্যতম জৌলুসপূর্ণ ক্রিকেট লিগ আইপিএলের ১৩ নম্বর আসর।
ভিডিও কনফারেন্সে আইপিএল'র ত্রয়োদশ আসর নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক শেষে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সব জটিলতা খোলাসা করেছে। আইপিএলের ত্রয়োদশ সংস্করণ হতে চলেছে ৫৩ দিনের একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিযোগিতা। ২৪ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করতে পারবে প্রত্যেকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি। ১০ নভেম্বর হবে ফাইনাল। প্রতিটি ম্যাচের সম্প্রচার ৩০ মিনিট করে এগিয়ে আনা হয়েছে। দিনের ম্যাচগুলো শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টায়। রাতের ম্যাচ ৮টা থেকে।
এবারের আইপিএলে দশটি ডাবলহেডার হবে। অর্থাৎ দশদিন এক দিনে দুটি করে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। অন্য আসরের চেয়ে যা তিন দিন বেশি। টুর্নামেন্টের ১০টি ম্যাচ হবে দিনে। বাকি সব ম্যাচ হবে রাতে।
প্রশ্ন হচ্ছে জনপ্রিয় এই লিগে দর্শক থাকবে কিনা? গ্রুপ পর্বের সবগুলো ম্যাচ ফাঁকা গ্যালারিতে অনুষ্ঠিত হবে। তবে এরপর পরিস্থিতি বিবেচনা করে দর্শকদের মাঠে আসার অনুমতি দেয়া হতে পারে। যদিও ইতোমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার ৩০ থেকে ৫০ ভাগ দর্শক উপস্থিত থাকার অনুমতি দিয়ে দিয়েছে। টুর্নামেন্ট চলাকালীন স্কোয়াডের কোনও ক্রিকেটার কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলে তার পরিবর্তে অন্য ক্রিকেটারকে দলে নিতে পারবে দলগুলো। আরব আমিরাতের তিন মূল ভেন্যু দুবাই, আবুধাবি ও শারজাহতে হবে টুর্নামেন্টের ৬০টি ম্যাচ।
যেই চীনা কোম্পানির থাকা না থাকা নিয়ে ভারতের সঙ্গে চীনের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব। তা নিয়ে নিয়ে থাকছে চমক। সংকট তৈরি হলেও আইপিএলে চীনা কোম্পানি ভিভোই টাইটেল স্পন্সর হিসেবে থাকছে। আইপিএলের টিভি সম্প্রচার স্বত্ব আবারও কিনে নিয়েছে স্টার স্পোর্টস। এরই মধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে ভিসার প্রক্রিয়া শুরু করে দিতে বলা হয়েছে।
ইত্তেফাক/এসআই