আইপিএলের ৩৫তম ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের দেয়া ১৬৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদেরও সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৬৩ রান। ফলে ম্যাচটি গড়ায় সুপার ওভারে। কলকাতার হয়ে সুপার ওভার করার জন্য অধিনায়ক মরগান বল তুলে দেন কিউই রিক্রুট লকি ফার্গুসনের হাতে। সুপার ওভারের প্রথম বলেই অধিনায়ক ওয়ার্নারকে বোল্ড করে দেন এই তারকা পেসার। তাঁর পরের বল থেকে মাত্র ২ রান নিতে সক্ষম হন ডানহাতি ব্যাটসম্যান আব্দুল সামাদ। কিন্তু ঠিক পরের বলে তাঁকেও বোল্ড করে দেন ফার্গুসন। ফলে জয়ের জন্য ৩ রান লক্ষ্য নির্ধারিত হয় কলকাতার।
সুপার ওভারে ব্যাটিংয়ে নেমে রশিদ খানের প্রথম বলে কোনও রান করতে পারেননি কলকাতা অধিনায়ক মরগান। দুই নম্বর বলে এক রান নিয়ে দীনেশ কার্তিককে স্ট্রাইক দেন তিনি। তিন নম্বর বলটি ডট হওয়ার পরে চার নম্বর বল থেকে লেগ বাইয়ে দুই রান পায় কলকাতা। একই সঙ্গে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।
আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে কলকাতার দেয়া ১৬৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামার পর শেষ ওভারে জয়ের জন্য হায়দরাবাদের প্রয়োজন ছিল ১৮ রান। সেই ওভারের প্রথম বলটি নো দিয়ে বসেন কলকাতার ক্যারিবিয়ান তারকার আন্দ্রে রাসেল। এরপরের বল থেকে এক রান নেন ক্রিজে থাকা রশিদ খান। এরপরের তিন বলে টানা তিনটি চার মেরে খেলা জমিয়ে তোলেন হায়দরাবাদ দলপতি ওয়ার্নার। পাঁচ নম্বর বলে ২ রান নিয়ে রোমাঞ্চ আরো বাড়িয়ে তোলেন এই অজি তারকা। শেষ বলে জয়ের জন্য হায়দরাবাদের প্রয়োজন ছিল ২ রান। কিন্তু রাসেলের সেই বলে এক রান নিতে সক্ষম হন ওয়ার্নার। ফলে ম্যাচটি সুপার ওভার পর্যন্ত গড়ায়।
এর আগে ম্যাচের শুরুতে টস জিতে কলকাতাকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান হায়দরাবাদ অধিনায়ক ওয়ার্নার। এরপর শুভমান গিল এবং ইয়ন মরগানদের দারুণ ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৩ রান সংগ্রহ করে কলকাতা। ৫টি চারের সাহায্যে ৩৭ বলে ৩৬ রান করেন ওপেনার গিল।
অপরদিকে অধিনায়ক মরগান ২৩ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন। যেখানে একটি ছক্কা এবং ৩টি চার মারেন তিনি। হায়দরাবাদের হয়ে ৪০ রান খরচায় ২টি উইকেট শিকার করেন থাঙ্গারাসু নটরজান। আর একটি করে উইকেট শিকার করেন বাসিল থাম্পি, বিজয় শঙ্কর এবং রশিদ খান।
কলকাতার দেয়া লক্ষ্যে খেলতে নামার পর ওয়ার্নার ছাড়াও ২৮ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার জনি বেয়ারস্টো। আরেক ওপেনার কেন উইলিয়ামসনের ব্যাট থেকে এসেছে ১৯ বলে ২৯ রান।
বল হাতে কিউই পেসার লকি ফার্গুসন দারুণ পারফর্ম করেছেন। ৪ ওভারে ১৫ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করেছেন এই ডানহাতি পেসার। এছাড়া একটি করে উইকেট শিকার করেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার প্যাট কামিন্স, অলরাউন্ডার শিভাম মাভি এবং লেগ স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
কলকাতা নাইট রাইডার্স: ৫/১৬৩ (২০ ওভার) (গিল ৩৬, মরগান ৩৪; নটরজান ২/৪০, রশিদ ১/২৮)
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ৬/১৬৩ (২০ ওভার) (ওয়ার্নার ৪৭*, বেয়ারস্টো ৩৬; ফার্গুসন ৩/১৫, কামিন্স ১/২৮)
ফলাফল: কলকাতা সুপার ওভারে জয়ী
ইত্তেফাক/এসআই