বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের প্রথম ম্যাচে উইকেট-শূন্য ছিলেন রুবেল হোসেন। পরের দুই ম্যাচে ছয়টি উইকেট (৩,৩) নিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার। গতকাল বল হাতে আরো দুর্বার রুবেল। সাদা বলের ক্রিকেটে নিজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা পরিপূর্ণভাবে তুলে ধরেছেন তিনি। কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে দুরন্ত বোলিং করেছেন। মিরপুর স্টেডিয়ামে গতকাল তামিম ইকবালের একাদশের টপঅর্ডার গুঁড়িয়ে দিয়েছেন অভিজ্ঞ এই পেসার।
প্রথম স্পেলে তার বোলিং ফিগার ছিল ৬-৩-১০-৩। ইনিংস শেষে ১০ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট। রুবেলের ধাক্কাতেই কেঁপে উঠা তামিম একাদশ ১৭ রানে হারিয়েছিল ৪ উইকেট। তারপর ইয়াসির আলী রাব্বি, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের জোড়া হাফ সেঞ্চুরি এবং শেষ দিকে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ৮ উইকেটে ২২১ রানের স্কোর গড়ে তামিম একাদশ।
ইনিংস বিরতিতে মিরপুরে নেমেছিল বৃষ্টি। রান তাড়া করতে নেমে আট রানেই দুই ওপেনারকে হারায় মাহমুদউল্লাহর দল। ইনিংসের সাত বলের মধ্যে নাঈম শেখ (৩), লিটন দাস (৫) সাজঘরে ফিরেন। তৃতীয় উইকেটে ৮৪ রানের জুটি গড়েন ইমরুল কায়েস ও মাহমুদুল হাসান জয়। ইমরুল ৪৯ রান করে আউট হন। গতকাল এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২৬ ওভারে ৩ উইকেটে মাহমুদউল্লাহ একাদশের সংগ্রহ ১২০ রান।
গতকাল টস জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছিলেন তামিম। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে তানজিদ হাসান তামিমকে (১) দিয়ে শুরু রুবেলের শিকার কাব্য। চতুর্থ ওভারে আবু হায়দার রনির বলে পয়েন্টে সাব্বিরের দুর্দান্ত ক্যাচে ফিরেন তামিম (৯)। সপ্তম ওভারে রুবেলের বলে বিজয় (১) ক্যাচ দেন কভারে। নিজের পরের ওভারে মিঠুনকে (২) ফেরান তিনি। দুই জনই বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছেন। ১৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে দলের হাল ধরেন ইয়াসির ও অঙ্কন। প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে সময় নিয়েছেন তারা। গড়েছেন ১১১ রানের জুটি। যদিও হাফ সেঞ্চুরির পর দুই জনই ফিরেছেন। ইনিংস বড় করতে পারেননি। ইয়াসির ৬২ রান করে রান আউট হয়েছেন। রুবেলের চতুর্থ শিকার হন ৫৭ রান করা অঙ্কন।
পরে মোসাদ্দেকের ৪০, সাইফউদ্দিনের ২৯ বলে ৩৮ রানের ইনিংসে ২০০ পার হয় তামিম বাহিনীর স্কোর। মাহমুদউল্লাহর দলের পক্ষে এবাদত দুইটি, আবু হায়দার রনি একটি করে উইকেট পান।
ইত্তেফাক/এসআই