শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে যুব সমাজকে কাজে লাগানোর বিকল্প নেই

আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২০, ১৭:৪৭

যু্ব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো: জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেছেন,  দেশের জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ যুব সমাজের কল্যাণে বাস্তবমুখী কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অঙ্গীকার রয়েছে।  স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শততম জন্ম বার্ষিকীর এ মাহেন্দ্রক্ষণে তাই এবারের যুব দিবসের নামকরণ করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবস  ২০২০’। 

তিনি আজ বৃহস্পতিবার ( ২৯ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবস ২০২০ উদযাপন উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন এবারকার নির্বাচনী ইশতেহারে অন্যতম প্রতিপাদ্য  ছিল তারুণ্যের শক্তি, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি। তাই যুব সমাজের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিতকল্পে বেকার যুবদের উদ্বুদ্ধকরণ,প্রশিক্ষণ প্রদান ও প্রশিক্ষণোত্তর আত্মকর্মসংস্থান প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তোলা,যুব ঋণ প্রদান, দারিদ্র্য বিমোচন ইত্যাদি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। 

আগামী  ১ নভেম্বর দেশব্যাপি  বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবস ২০২০ উদযাপিত হবে। কোভিড ১৯ পরিস্থিতিতে এবারের যুব দিবসের সকল কর্মসূচি স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ পূর্বক সীমিত পরিসরে আয়োজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে যুবসমাজের সৃজনশীলতা,আত্মপ্রত্যয় ও তাঁদের  কর্মস্পৃহার প্রতি আস্থা রেখে মুজিববর্ষের এ বছর জাতীয় যুবদিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে : “ মুজিববর্ষের আহবান,যুব কর্মসংস্থান ”। 

তিনি দিবসটি উপলক্ষ্যে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচীর বর্ণনা দিয়ে বলেন, আগামী ১ নভেম্বর  সকাল ১০.০০ টায় গনভবন এবং ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন,ঢাকায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবস ২০২০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষিত সফল যুবক ও যুবমহিলাদের মধ্য হতে আত্মকর্মসংস্থান প্রকল্প স্থাপনে দৃষ্টান্তমূলক অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ২১ জন সফল আত্মকর্মী যুব ও ৫ জন সফল যুব সংগঠক মোট ২৬ জনকে এ বছর জাতীয় যুব পুরস্কার প্রদান করা হবে এবং বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষ্যে স্মারক ডাকটিকেট ও খাম উন্মোচন করা হবে।  দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলাতে অনুরূপ কর্মসূচী বাস্তবায়িত হবে । 

তিনি আরো বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ, ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজি, সর্বোপরি ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অমিত সম্ভাবনার এ যুব সমাজকে কাজে লাগানো ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। সে লক্ষ্যে অধিদপ্তরের কার্যক্রম তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত আরো বিস্তৃত করে দেশে এবং বিদেশে যুবদের অধিকহারে কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে বর্তমান যুববান্ধব সরকার বদ্ধপরিকর।

এ লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের সময়ে ( ১ জানুয়ারি ২০০৯ থেকে ৩০ জুন ২০২০ পর্যন্ত ) যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর হতে ৩০ লক্ষ ২৯ হাজার  ৬২৯ জনকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ৭ লক্ষ ২৮ হাজার ৭০৫ জন  আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়েছে। এ পর্যন্ত ৩৭টি জেলার ১২৮টি উপজেলায় ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচির আওতায় মোট ২ লক্ষ ৩০ হাজার ৪৬৪ জনকে প্রশিক্ষণ এবং ২ লক্ষ ২৮ হাজার ১২৯ জনের  অস্থায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে যুব ও ক্রীড়া সচিব মোঃ আখতার হোসেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আখতারুজ জামান খান কবির ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ইত্তেফাক/এসআই