বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মেহেদীর অলরাউন্ড নৈপুণ্যে রাজশাহীর জয়

আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২০, ২৩:৪৩

উদ্বোধনী ম্যাচেই শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই, নিখাদ ক্রিকেটীয় বিনোদনের বড় বিজ্ঞাপন পেয়ে গেল বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপ। স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে করোনাকালে বিসিবির দ্বিতীয় টুর্নামেন্টের শুরুটা নিজেদের জয়ে রাঙাল মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। মেহেদী হাসানের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে মিরপুর স্টেডিয়ামে ম্যাচের শেষ ওভারে বেক্সিমকো ঢাকার বিরুদ্ধে ২ রানের জয় পেয়েছে রাজশাহী।

তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার ম্যাচে ব্যবধান গড়েছেন মেহেদী। শেষ ২ ওভারে জয়ের জন্য ৩০ রান দরকার ছিল ঢাকার। ১৯তম ওভারে ফরহাদ রেজা ২১ রান দেন। অন্তিম ওভারে ৯ রান নিতে দেননি মেহেদী। মুক্তার আলীকে বেঁধে রেখে ৬ রান দেন তিনি। প্রথম তিন বলই ডট, চতুর্থ বলে চার। পঞ্চম বলে আবেদন ছিল, রিপ্লে দেখতে গিয়ে নো বল ধরা পড়ে। ফ্রি হিটেও বলে-ব্যাটে সংযোগ হয়নি মুক্তারের। শেষ বলে শুধু সিঙ্গেল দিয়েই হুঙ্কার ছাড়েন মেহেদী। 

ব্যাটিংয়েও দলের ত্রাতা ছিলেন তিনি। টুর্নামেন্টের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করেন ৩১ বলে। ৩২ বলে ৫০ রান (৩ চার, ৪ ছয়) করেছিলেন মেহেদী। বোলিংয়ে ২২ রানে ১ উইকেট। এমন দুরন্ত পারফরম্যান্সে ম্যাচ সেরার পুরস্কারও গেছে মেহেদীর দখলে। 

আরো পড়ুন : আকবরের ব্যবহৃত জিনিসপত্র  ফরেনসিকে পাঠাবে পিবিআই

মঙ্গলবার মিরপুরে টসে হেরে আগে ব্যাট করে রাজশাহী ৯ উইকেটে ১৬৯ রান করেছিল। ৬৫ রানে ৫ উইকেট পতনের পর দলের ধরেছিলেন মেহেদী ও নুরুল হাসান সোহান। তাদের ৮৯ রানের জুটিই রাজশাহীকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেয়। সোহান ২০ বলে ৩৯, আনিসুল ইমন ৩৫, শান্ত ১৭, ফরহাদ রেজা অপরাজিত ১১ রান করেন। ঢাকার মুক্তার আলী নেন ৩ উইকেট।
রান তাড়া করা ঢাকা ৫ উইকেটে ১৬৭ রানের বেশি যেতে পারেনি। ভাঙা গড়ার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়া দলকে আশা যুগিয়েছিল মুশফিক-আকবর আলীর ৭১ রানের জুটি। কিন্তু দলীয় ১৩৪ রানে অধিনায়ক মুশফিক আউট হলে চাপে পড়ে ঢাকা। ১৮তম ওভারে স্কুপ খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তিনি। ১৯তম ওভারে ফরহাদ রেজাকে মুক্তার আলী ৩ ছক্কা মারলেও চাপের সমুদ্র পাড়ি দিতে পারেনি ঢাকা। শেষ ওভারে মেহেদীর ভেল্কিতে দুরন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রাজশাহী। মুশফিক ৪১, আকবর আলী ৩৪, নাঈম শেখ ২৬, তানজিদ ১৮, মুক্তার আলী অপরাজিত ২৭ রান করেন।

 

ইত্তেফাক/ইউবি