শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

সংখ্যাতত্ত্বে ম্যারাডোনা

আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২০, ০২:১২

দিয়েগো ম্যারাডোনা যে কীর্তি, প্রভাব রেখে যাচ্ছেন, যে জীবন যাপন করে গেছেন, সেসবকে নেহাত সংখ্যায় প্রকাশ করাটা প্রায় অসম্ভব। তবু তার ফেলে যাওয়া সংখ্যাগুলো অসামান্য কিছুই।

১ ম্যারাডোনার জেতা বিশ্বকাপের সংখ্যা। সংখ্যাটা তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণও বটে, শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠিতে আর সবার চেয়ে যোজন যোজন ব্যবধানে এগিয়ে দিয়েছিল যে!

৩ আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির বিশালতার আন্দাজ মেলে এ সংখ্যা থেকেও। ন্যাপোলি তাদের ৯৪ বছরের ইতিহাসে বড় শিরোপা জিতেছে তিনটি, দুটি সিরি আ আর একটি উয়েফা কাপ। সব কটিই এসেছে ম্যারাডোনার আমলেই। এর আগে পরে আর কখনোই বড় শিরোপার মুখ দেখেনি নেপলস!

৯ বোকা জুনিয়র্স, বার্সেলোনা আর ন্যাপোলির হয়ে ম্যারাডোনার জেতা শিরোপাসংখ্যা।

৩৪ আকাশি-সাদা জার্সি পরে ম্যারাডোনার গোলসংখ্যা। বোকা পরিসংখ্যানে তিনি আছেন আর্জেন্টাইন সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় পঞ্চম স্থানে। তবে গুরুত্ব বিচারে ওপরের পাঁচ জনের চেয়ে যে বড় ব্যবধানেই এগিয়ে আছেন ম্যারাডোনা, তা আর বলতে!

বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা

১ এক বিশ্বকাপে পাঁচ গোল করা আর সতীর্থদের দিয়ে পাঁচটি করানোর কৃতিত্ব দেখিয়েছেন ম্যারাডোনা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এমন কীর্তি আর নেই একটিও।

১/৩ বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল জিতেছেন এমন আর্জেন্টাইন আছেন তিন জন। দিয়েগো ম্যারাডোনা তাদেরই একজন। অন্য দুই জন হলেন মারিও কেম্পেস (১৯৭৮) ও লিওনেল মেসি (২০১৪)।

৮ ম্যারাডোনা খেলতেন, খেলাতেন। তাই বিশ্বকাপে করা গোল আর জোগানও কথা বলছে তেমন সুরেই। ফুটবলের শ্রেষ্ঠ আসরে ম্যারাডোনার গোলসংখ্যা ৮। সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেনও সমানসংখ্যক গোল, ফুটবলের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতায় এর চেয়ে বেশি জোগান নেই আর কারো!

২১ বিশ্বকাপে ২১ ম্যাচে খেলেছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। যা ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ।

৬৬ সে ২১ ম্যাচে ম্যারাডোনা-সৃষ্ট সুযোগসংখ্যা। ১৯৬৬ সাল থেকে এসবের হিসেব রাখা শুরু হয়, সেই থেকে আজ পর্যন্ত এতগুলো সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেননি আর কেউ।

১৫২ বিশ্বকাপে এতবার ফাউলের শিকার হয়েছেন তিনি। আসরটির ইতিহাসে এত বেশি ফাউলের শিকার হতে হয়নি আর কাউকে। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা খেলোয়াড়টিও আছেন ঢের পেছনে, হজম করেছেন মোটে ৬৪টি ফাউল।

৫১/১০ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শতাব্দীর সেরা গোলটায় আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর সময় নিয়েছিলেন মোটে ১০ সেকেন্ড, পাড়ি দিয়েছিলেন ৫১ মিটার। ১৯৬৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বকাপে এর চেয়ে বেশি দূরত্ব পাড়ি দিয়েছেন মোটে তিন জন খেলোয়াড়। সঙ্গে যোগ করুন ৯ জনকে ড্রিবলে ছিটকে দেওয়ার ঘটনা। শতাব্দীর সেরা গোল না হয়ে যায় কী করে!

ইত্তেফাক/টিআর