শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

কিংবদন্তির বিদায়ে এখনো চলছে শ্রদ্ধা

আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২০, ০৪:৪৭

অন্তিম শয়ানে চলে গিয়েছেন আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বর দিয়েগো আরমোন্দো ম্যারাডোনা। তাকে নিয়ে ফুটবল দুনিয়তো বটেই, সবশ্রেণির মানুষের মধ্যে চলছে স্মৃতিচারণ। বুধবার আর্জেন্টিনার সময় দুপুরে মারা গিয়েছেন ফুটবলের রাজপুত্র ম্যারাডোনা। আজেন্টিনায় এখনো শোকের মাতম। এখনো চলছে শ্রদ্ধা। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর, এখনো সেখানে সাধারণ মানুষ মেনে নিতে পারছেন না তাদের প্রাণপ্রিয় ফুটবলারের আকস্মিক চলে যাওয়া। ম্যারাডোনার কন্য দালমা ইন্সস্টাগ্রামে লিখেছেন হূদয় নিংড়ানো ভাষায় লিখেছেন খুব শিগিগরই পরপারে বাবার কাছে যাওয়ার অপেক্ষায় তিনি।

ইউরোপিয়ান ফুটবলে সবকিছুতেই শোক। মনে হচ্ছে, ম্যারাডোনা নেই ফুটবলও নেই। চেসলসির কোচ ফ্রাঙ্ক ল্যামপার্ড বলছিলেন, ম্যারাডোনাকে দেখেই ফুটবলের প্রেমে পড়েছিলাম। সে ছিল আমার ফুটবল ক্যারিয়ারের নায়ক। তাকে দেখে ফুটবল খেলাটাকে আরো বেশি ভালোবাসতে শুরু করেছিলাম। ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড বললেন, ‘আমি খুবই ভাগ্যবান যে, আমার জীবদ্দশায় ম্যারাডোনার দেখা পেয়েছিলাম।’

কারো চোখে ম্যারাডোনা ছিলেন ফুটবলের পোপ। কারো কাছে ছিলেন ফুটবলের পথপ্রদর্শক। পৃথিবীর নিয়ম কেউ আগে কেউ পরে পৃথিবী ছেড়ে যাবেন। কিন্তু কারো কারো মৃত্যু তার ভক্তরা মেনে নিতে পারেন না বা মেনে নিতে কষ্ট হয়। ম্যারাডোনা তেমনই একজন মানুষ ছিলেন। নিপীড়িত মানুষের জন্য কাজ করেছেন। ধনীর বিপক্ষে কথা বলেছেন। যুদ্ধের ময়দানে মানুষের প্রাণহানি যারা করছে তাদের বিপক্ষে উচ্চকণ্ঠ ছিলেন ফুটবল মাঠের সবচেয়ে বড় যোদ্ধা। লিভারপুলের কোচ য়ুর্গেন ক্লপ বলেছেন, আমার মতো সাদামাটা ফুটবলারের জন্য ওর মতো ফুটবলারের সাক্ষাত্ পাওয়া ছিল অনেকটা ধর্মগুরু দর্শনের মতো। ফুটবল দুনিয়ার মতো আমিও তাকে মিস করব।’ রিয়াল মাদ্রিদের কোচ জিনেদিন জিদান জানিয়েছেন, এমন একজনকে হারালাম যে কি না ফুটবলের জন্য ছিল বিশেষ কিছু।’

ম্যারাডোনার স্মরণে আর্জেন্টিনার সংসদ রঙিন করা হয়েছে। আলোকিত করা হয়েছে ভবন। আর দুই পাশে বড় পর্দায় দেখানো হচ্ছে ম্যারাডোনার ফুটবলরে বিশেষ কিছু মুহূর্ত।

ম্যারাডোনার খুব কাছের বন্ধু আইনজীবী অ্যানজেলো পাসিনি ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, আর্জেন্টিনার বদলে ইটালিতে থাকলে তার বন্ধুর এমন মৃত্যু হতো না। আমার বন্ধু মৃত্যুর সময় কাউকে কাছে পায়নি। আমি ম্যারাডোনার পাশের বাসার লোকের কাছে জানতে পেরেছি ম্যারাডোনা বিছানায় শুয়ে ছটফট করছিলেন। সেখানেই হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। এটা খুবই দুঃখের কথা। পরিবার হতে বলা হয়েছে ম্যারাডোনার মৃত্যুতে কারো গাফলতি ছিল কি না, তা খুঁজবে পুলিশ। সিসিটিভির ফুটেজও দেখবে পুলিশ।

ইত্তেফাক/এএএম