শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

‘মেসিকে বিক্রি করে দেয়াই উচিত ছিল’

আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২০, ১৭:৫১

ক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় গেলো গ্রীষ্মকালীন দলবদলেই বার্সেলোনা ছাড়তে চেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। তবে শেষতক বোর্ডের নিয়মের বেড়াজালে আটকে আর দল ছাড়া হয়নি তার। তবে বার্সার অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি কার্লোস টুস্কেটস জানালেন, সে সময়ে মেসিকে বিক্রি করে দেয়াই উচিত ছিল ক্লাবের। 

মেসির সঙ্গে বার্সেলোনার বর্তমান চুক্তিতে প্রতি মৌসুম শেষে চাইলে ক্লাব ছাড়ার একটা ধারা আছে। গেলো গ্রীষ্মকালীন দলবদলে সেটা কাজে লাগিয়েই ক্লাব ছাড়তে চেয়েছিলেন ছয়বারের ব্যালন ডি’ অর জয়ী।

চুক্তিতে বলা আছে, প্রতি বছর জুন মাসের আগে ক্লাবকে জানালে বিনামূল্যে দল ছাড়তে বাঁধা থাকবে না তার। সাধারণত সে সময়টায় মৌসুম শেষ হয়ে যায়, তবে করোনাকালীন মৌসুম শেষ হতে দেরি হওয়ায় মেসিও ক্লাবকে ব্যাপারটা জানান আগস্ট মাসের শেষদিকে। বার্সেলোনা আপত্তি তোলে সে সময়টা নিয়েই। শেষমেশ নিয়মের জালে আটকে মেসির আর দল ছাড়া হয়নি।
এরপর ক্লাবে অনেক পালাবদল এসেছে। নতুন কোচ এসেছেন, সভাপতি হোসে মারিয়া বার্তোমিউ পদত্যাগ করেছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি কার্লোস টুস্কেটস এসেছেন।

তবে তিনি মনে করেন, মেসিকে যেতে না দিয়ে ভুলই করেছেন বার্তোমিউ। সম্প্রতি স্প্যানিশ রেডিও ‘আরএসি১’ কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে টুস্কেটস বলেন, ‘ক্লাবের আর্থিক অবস্থা মাথায় রাখলে, গেলো গ্রীষ্মেই মেসিকে বিক্রি করে দিতাম আমি। তাতে বড় অঙ্কের অর্থ আসতো কোষাগারে, যা থেকে কিছুটা বাঁচিয়েও রাখা যেতো। সেটা ক্লাবের জন্যে ভালোই হতো।’ 
তবে কাতালানদের সঙ্গে মেসির চুক্তি শেষ আগামী গ্রীষ্মেই। তখন বিনামূল্যে ক্লাব ছাড়তে আর বাঁধা থাকবে না বার্সা অধিনায়কের। 

নেইমারের বার্সায় আসা নিয়ে ২০১৯ এর গ্রীষ্মে কম জলঘোলা হয়নি। তবে বর্তমান অবস্থা বিচারে সেটা আর সম্ভব নয় বলে জানান বার্সার অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি, ‘সে যদি বিনামূল্যে আসতে চায় তাহলে আমার একটুও আপত্তি নেই। এছাড়া সেটা সম্ভব নয় আদৌ। কারণ তখন খেলোয়াড় বিক্রি করে যে অর্থ আসবে, তার পুরোটাই খরচ হয়ে যাবে তাকে দলে ভেড়াতে।’

 

ইত্তেফাক/ইউবি