শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মোহামেডানের বাগানে ফুলের সমারোহ কিন্তু ঘ্রাণ কম

আপডেট : ০১ মার্চ ২০২১, ০৩:২০

ক্রীড়াঙ্গনে মোহামেডানের নির্বাচন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। নতুন নির্বাচন হবে আবার নতুন করে মোহামেডান এগিয়ে যাবে। এমন প্রত্যাশা করছেন সাদাকালো সমর্থকরা। সঙ্গে এমন কথাও হচ্ছে নির্বাচন পরবর্তী মোহামেডান কেমন হতে পারে। প্রার্থীরা নির্বাচন করে মোহামেডানের চেয়ারে বসতে চায়। যারা চেয়ারে বসতে চায় তাদের সবাই কি মোহামেডানের সত্যিকারের সমস্যাগুলো খুঁজে দেখেছেন।

ডাইরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভুঁইয়াকে দেখা গেছে, তিনি কিছু কিছু স্পন্সর এনে দলটাকে ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। এমন দুঃসময়ে মোহামেডানের পাশেই বা কয়জন ছিলেন। নির্বাচনের পথ খুলেছে। পরিচালক হতে চান যারা তারা সবাই কি মোহামেডানকে উজাড় করে দেওয়ার জন্য আসতে চান। সদস্যদের তালিকায় অনেক খ্যাতনামা ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়। তাদের কয়েক জন ছাড়া অন্যরা কি মোহামেডানের খোঁজখবর নিয়েছেন কখনো।

মোজাম্মেল বাবু, রেজাউর রহমান সোহাগ, প্রয়াত বাদল রায়সহ অন্যরা সাংগঠনিকভাবে ক্লাবটাকে গুছিয়ে আনার পেছনে চেষ্টা করেছেন। আগামী ৬ মার্চ মোহামেডানের নির্বাচন। অর্ধশতাধিক প্রার্থী পরিচালক পদে মনোনয়ন তুলেছেন। জমা দেওয়ার দিন আজ। ক্লাব অঙ্গনে নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ততা না দেখা গেলেও শোনা যাচ্ছে প্রার্থীরা বসছেন, কথা বলছেন নিজেদের মধ্যে। নির্বাচন হোক বা না হোক, ১৬ জন পরিচালক মোহামেডানের দায়িত্ব আসবেন সেটা নিশ্চিত। মোহামেডান সমর্থকরা চান এতো বড় একটা সংগঠননের চাকা যেন থেমে না থাকে। গতিশীল হোক।

মোহামেডানের দায়িত্ব যারাই তুলে নেবেন তারা যেন মোহামেডনের ভেতরকার সমস্যাগুলো দূর করতে নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করেন। মোহামেডানের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। মোহামেডানকে কোন পথে নেতৃত্ব দিলে আবার এই সংগঠন মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। ফুটবল হকি ক্রিকেটসহ অন্যান্য খেলায় শিরোপা পাবে সেই বিষয়গুলো নেতৃত্বে আসতে চাওয়া মানুষগুলো ভাববেন কি না, সেটাই সমর্থকরা জানতে চায়। পেশাদার ফুটবলে আজও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি মোহামেডান। ফেডারেশন কাপ ফুটবলে সেমিফাইনাল হতে বিদায় নেয়। সমর্থকরা চ্যাম্পিয়নের উত্সব করে না বহুদিন। কারা নেতৃত্বে আসবে তার চেয়েও বড় কথা হচ্ছে নতুন নেতৃত্বে সংগঠন হিসেবে মোহামেডান কতটা লাভবান হবে, কোটি কোটি ভক্ত মোহামেডনের, তারা কি আবার সাদাকালো পতাকার নিচে আসতে পারবে। নাকি নির্বাচন হবে শুধুমাত্র চেয়ার ভরাট করার জন্য। অভাব-অনটন সাংগঠনিক দুর্বলতা থেকেই যাবে।


ইত্তেফাক/এনএ