শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

একগাদা রেকর্ড গড়ে সিরিজ পাকিস্তানের

আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২১, ১১:০২

আইপিএলের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা দল থেকে ভারতে চলে এসেছিলেন কাগিসো রাবাদা, কুইন্টন ডি ককরা। যার ফলে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের আগেই খর্বশক্তির হয়ে পড়েছিল স্বাগতিকরা। সে সুযোগটাই নিয়েছে সফরকারীরা। শেষ ম্যাচে ২৮ রানের জয় পেয়েছে তারা। সিরিজটাও নিজেদের করে নিয়েছে পাকিস্তান। সেইসঙ্গে গড়েছে একগাদা রেকর্ড। 

ফখর জামান তৃতীয় ওয়ানডেতেও যেন আগের ম্যাচে যেখানে থেমেছিলেন ঠিক সেখান থেকেই শুরু করলেন। দারুণ এক শতক তুলে নিয়ে ১০১ রানে থেমেছেন, দলকে দিয়েছেন বড় স্কোরের ভিত। সঙ্গী ইমাম উল হক ৫৭ রান করে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন তাকে। এরপর সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্ক দেখল বাবর আজমের প্রদর্শনী। দারুণ সব শটের পসরা সাজিয়ে তিনি অপরাজিত থাকেন ৯৪ রানে, ৩২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে হাসান আলী এনে দেন পাকিস্তানকে ৩২০ রানের পুঁজি।

জবাবে ভালো শুরুর পরও ১৪০ রানেই ৫ উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। এরপর কাইল ভেরেইন ও এইডেন মারক্রামের ১০৮ রানের জুটিতে জয়ের আশা টিকে থাকে স্বাগতিকদের। কিন্তু দলীয় ২৪৮ রানে জুটিটা ভাঙতেই দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজ জয়ের আশাটাও যেন ফিকে হয়ে আসতে থাকে। এরপর মোহাম্মদ নওয়াজ ও শাহিন আফ্রিদির ৩ উইকেট শিকারে ২৯২ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। পাকিস্তান পায় ২৮ রানের জয়। ২-১ সিরিজ নিজেদের করলো সফরকারীরা।

এই জয় অনেক রেকর্ড এনে দিয়েছে পাকিস্তানকে। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার সিরিজ জিতল দলটি, কোনো দক্ষিণ এশীয় দলের যেখানে সিরিজ জয় নেই একটির বেশি।

আগের ম্যাচের ১৯৩ রানের পর তৃতীয় ওয়ানডেতে ১০১ রানের ইনিংস খেলে তৃতীয় সফরকারী ব্যাটসম্যান হিসেবে ফখর আজম পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টানা সেঞ্চুরির দেখা। এর আগে এ কীর্তি ছিল দুই ইংলিশ ক্রিকেটার জো রুট ও কেভিন পিটারসেনের। টানা সেঞ্চুরি তো দূর অস্ত, এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় একটির বেশি সেঞ্চুরি ছিল না পাকিস্তানের কোনো ব্যাটসম্যানের। ফখরই প্রথম।

এদিন তিন উইকেট নিয়ে মাত্র ২৫তম ওয়ানডেতে ৫০তম উইকেটের দেখা পেলেন শাহিন আফ্রিদি। পাকিস্তানিদের মধ্যে শুধু হাসান আলীরই এর চেয়ে কম ম্যাচে ৫০তম উইকেটের কীর্তি আছে।

ইত্তেফাক/টিআর