মিউনিখেও এমবাপে-তাণ্ডব

শেষ ষোলোর দুই লেগে চার গোল করে একাই লিওনেল মেসির বার্সেলোনাকে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় করেছিলেন। এবার বায়ার্ন মিউনিখের ডেরায় গিয়েও কিলিয়ান এমবাপে অব্যাহত রাখলেন সেই ‘খুনে’ ফুটবলের ধারা। এই ফরাসি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের জোড়া গোলে গত বুধবার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে বায়ার্নকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়েছে পিএসজি। দিনের অপর কোয়ার্টারে ম্যাসন মাউন্ট ও বেন চিলওয়েলের গোলে স্বাগতিক পোর্তোর বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানের জয় নিয়ে ফিরেছে টমাস টুখেলের চেলসি।
মিউনিখে তীব্র তুষারপাত ও প্রাকৃতিক ঝঞ্ঝাটের মধ্যেও ফুটবল বিশ্বকে অসাধারণ একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফুটবল ম্যাচ উপহার দিল গত আসরের দুই ফাইনালিস্ট। আলিয়াঞ্জ অ্যারিনায় প্রথম মিনিটেই আক্রমণে উঠে হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। প্রথম দুই মিনিটে বায়ার্ন দুটি সুযোগ হাতছাড়া করার পর ম্যাচের প্রথম প্রতি-আক্রমণেই গোল করেন এমবাপে। নেইমারের পাস থেকে ম্যাচে তৃতীয় মিনিটেই পিএসজিকে এগিয়ে দেওয়া এই গোলে এমবাপের শটের চেয়ে সেটি ঠেকাতে গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যারের ব্যর্থতাই বেশি ভূমিকা রেখেছে।
তবে ২৮ মিনিটে বায়ার্নের পুরো ডিফেন্স লাইনকে বোকা বানিয়ে নেওয়া নেইমারের লং পাসের সামনে কিছুই করার ছিল না নয়্যারের। আলতো করে সেই পাসটি রিসিভ করে বায়ার্নের জালে পুরে দিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নেইমারের স্বদেশী ডিফেন্ডার মার্কুইনোজ। পিএসজি এগিয়ে গেলেও নেইমারদের প্রতি-আক্রমণগুলোর বাইরে ম্যাচের সিংহভাগ সময় আক্রমণে ছিল বাভারিয়ানরাই। স্বভাবসুলভ আক্রমণাত্মক ফুটবলের সুফল পায় তারা ৩৭ মিনিটে। ফুলব্যাক বেঞ্জামিন পাভারের একটি ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন রবার্ট লেভান্ডভস্কির স্থলাভিষিক্ত হওয়া এরিক ম্যাক্সিম চপো-মোটিং।
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের পর আক্রমণ অব্যাহত রেখে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। ৬০ মিনিটে সমতাসূচক গোলটি করেন দলের বর্ষীয়ান তারকা টমাস মুলার, জসুয়া কিমিখের ফ্রিকিকে হেড করে। বায়ার্ন নিজেদের মাঠে যখন আরেকটি কামব্যাকের ইঙ্গিত দিচ্ছিল, তখনই স্বাগতিকদের রক্ষণকে হতবাক করে দিয়ে অসাধারণ একটি গোল করেন এমবাপে। ৬৮ মিনিটে এমবাপের এই গোলের পর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি বায়ার্ন। হ্যান্সি ফ্লিকের অধীনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এই প্রথম কোনো ম্যাচে হারল মুলাররা।
ইত্তেফাক/এমআর