শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

চ্যাম্পিয়ন হয়ে বরখাস্ত নেপাল কোচ, হেরেও বহালতবিয়তে জেমি

আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২১, ১৯:৩৭

ফুটবলে এমনটাই হয়। কোচ আসবে কোচ যাবে। ভালো করলে থাকবেন আর খারাপ করলে বিদায়। কিন্তু নেপাল এবং বাংলাদেশ ফুটবল দলের দুই কোচের বেলায় ঘটেছে তার উল্টো।

২৯ মার্চ নেপালে তিন জাতির টুর্নামেন্টে নেপাল বাংলাদেশকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। নেপালের কোচ বালগোপাল মারহজন ট্রফি এনে দিলেন। পুরনো প্রতিশোধ নিলেন। ৯৯ সাফ গেমস ফুটবলে নেপালের এই মাঠেই বাংলাদেশ হারিয়েছিল নেপালকে। এসএ গেমস ফুটবলের সোনার হরিনের দেখা পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেই ফাইনাল খেলেছিলেন বালগোপাল মহারজন। সেদিনের কষ্টের কথা ভুলতে পারেননি তিনি। কোচ হয়ে প্রতিশোধ নিয়েছেন। অথচ ট্রফি এনে দেয়ার পরই তার চাকরি গেছে। বালগোপাল মারহজনকে বাদ দিয়ে কুয়েতের আব্দুল্লাহ মুনতাইরিকে চাকরি দিয়েছে নেপাল। ট্রফি উপহার দেয়ার পর চাকরি হারানোটা দুঃখজনকই। এই দিক থেকে সুখেই আছেন বাংলাদেশের ইংলিশ কোচ জেমি ডে। 

নেপালের টুর্নামেন্টের ফাইনালে ৫ জন গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলারকে বসিয়ে রেখে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ হারিয়েছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টটা যারা পর্যবেক্ষণ করেছেন তাদের চোখ পড়েছে, জেমির ভুল সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের ফুটবলেই ছুরি মারা হয়ে গেছে। তার পরও এই কোচের চাকরিটা একবিন্দুও নড়বড়ে হয় নি। ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক কোচের কারণে বাংলাদেশ সুবর্ণজয়ন্তীতে ফুটবলে স্মরণীয় ট্রফি জয়ের ইতিহাস গড়া হয়নি।  

অনেকই বলতে পারেন নেপাল কোচ বালগোপাল মহারজনের ফিফা প্রো-লাইসেন্স নেই বলে তাকে সরিয়ে কুয়েতের কোচ আনা হয়েছে। বাফুফেও জেমিকে প্রথম নিয়োগ দেয়ার আগে লাইসেন্সধারী কোচ আনতে পারত। তা না করে ইংল্যান্ড হতে অচেনা-অজানা একজনকে এনে জাতীয় দলের কোচ নিয়োগ দিয়ে তার কোচিং ক্যারিয়ার সার্থক করার দায়িত্ব নিলো বাফুফে। যেন জেমিকে পরিপূর্ণতা দেয়ার জন্যই তাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। এখানে বাংলাদেশের ফুটবলের স্বার্থটা এমন যে, ‘যদি কোনো সাফল্য আসে ভালো। না আসলে কিছু যায় আসে না।’ জেমি কোনো দেশের জাতীয় দলের কোচ ছিলেন না।

বাফুফে জেমিকে চাকরি দিয়ে জাতীয় দলের কোচের সার্টিফিকেট তুলে দিল। বাংলাদেশের চাকরি পাওয়ার পর প্রো-লাইসেন্স সার্টিফিকেটের আবেদন করেন তিনি। জেমি এখন বলতে পারবেন আমি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ ছিলাম। জেমিকে দিয়ে বাংলার ফুটবলের কতোটা উপকার হলো, নাকি মাঝখানে অন্য কেউ লাভবান হলে সেই হিসাব বাফুফে রাখার প্রয়োজন মনে করে কিনা সেটা সময় বলবে।

ইত্তেফাক/এসআই