আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) প্রযুক্তি এখন নিয়মিতই ব্যবহার হচ্ছে। তাতে মাঠে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক বহুলাংশে কমে গেছে।
আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মনঃপুত না হলে টিভি আম্পায়ারের মাধ্যমে প্রযুক্তির সহায়তা নিতে পারছেন খেলোয়াড়রা। হালের জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-২০ লিগেও ব্যবহার হয় ডিআরএস। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগও (বিপিএল) যেটি দেখা যায়। তবে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের বাকি টুর্নামেন্টগুলোতে ডিআরএস ব্যবহার করা হয় না।
যার ফলে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক চালু রয়েছে। গতকাল যেমন মিরপুর স্টেডিয়ামে আবাহনীর মুশফিকুর রহিমের বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউর আবেদন করেছিলেন সাকিব আল হাসান। আবেদনের ধরন বলছিল বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার প্রায় নিশ্চিতই ছিলেন আউটের বিষয়ে। কিন্তু আম্পায়ার ইমরান পারভেজ আউট দেননি।
মুহূর্তেই রেগে আগুন হয়ে যান সাকিব। সবাইকে বিস্মিত করে স্টাম্পে লাথি মারেন তিনি। পরে আম্পায়ারের সঙ্গে বাহাসে লিপ্ত হন।
ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগ, জাতীয় ক্রিকেট লিগ, বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ, ক্লাব ক্রিকেটের অন্যান্য লিগগুলোতেও আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা হরহামেশাই দেখা যায়। ডিআরএস না থাকায় খেলোয়াড়দের অসন্তোষ অনেক সময় মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিংয়ের অভিযোগও উঠে আসে।
প্রিমিয়ার লিগে ব্যয়বহুল ডিআরএস প্রযুক্তি চালু করতে পারেনি বিসিবি। তবে গত দুই বছর ধরে পিচ ভিশন প্রযুক্তির মাধ্যমে অনলাইনে খেলা সম্প্রচার করা হচ্ছে। এমনকি এবার ম্যাচগুলো বিসিবির নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলেও সম্প্রচার হচ্ছে।
ইত্তেফাক/ইউবি