শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

গতকালের ঘটনায় যেমন শাস্তি হতে পারে সাকিবের

আপডেট : ১২ জুন ২০২১, ০৮:৫৪

বিতর্কিত কাণ্ডে জড়িয়ে আবারও আলোচনায় ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। গতকাল শুক্রবার (১১ জুন) মিরপুর শেরে বাংলায় ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের হাইভোল্টেজ ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীর বিপক্ষে মোহামেডান অধিনায়ক বেশ কয়েকটি ঘটনার জন্ম দিয়েছেন। যা ভক্ত-সমর্থকদের মনে একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে-কী শাস্তি হবে সাকিবের?

মোহামেডানের তখন ৩ উইকেটে ২১ রান। পঞ্চম ওভারে বল হাতে তুলে নেন সাকিব আল হাসান। ওভারের পঞ্চম বলটিই আঘাত হানে আবাহনী অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম প্যাডে। সাকিব এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করেন, কিন্তু আম্পায়ার তাতে অনড়।

সাকিবকে সমর্থন দিয়ে শিশিরের স্ট্যাটাস

কিন্তু এরপরই বিতর্কিত এক কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন মোহামেডান অধিনায়ক। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট সাকিব রাগে ক্ষোভে স্ট্যাম্পে লাথি মেরে ননস্ট্রাইকের উইকেট ভেঙে ফেলেন।

সেখানেই শেষ নয়। আম্পায়ারের দিকে রাগত স্বরে তাকিয়ে কিছু বলতে থাকেন। অনেকটা সময় এমন আচরণ করেন সাকিব।

নাটকের দ্বিতীয় পর্ব ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলের পর। তখন বৃষ্টি শুরু হলে মাঠকর্মীদের দিকে ইশারায় কাভার আনতে বলেন আম্পায়ার মাহফুজুর রহমান। সাকিব তখন আবার আম্পায়ারের দিকে এগিয়ে গিয়ে বলতে থাকেন কিছু একটা। এরপর হুট করেই তিনটি স্টাম্পই তুলে আছাড় মারেন মাটিতে।

এবারও আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক হয় তার। এবার এক পর্যায়ে গিয়ে উপড়ে ফেলা স্টাম্পের একটি নিয়ে উল্টো করে আবার মাটিতে পোঁতার চেষ্টা করতে দেখা যায় তাকে।

২ দফা স্টাম্প ভেঙে সুজনের সঙ্গে বিবাদে জড়ালেন সাকিব

মাঠে উত্তপ্ত পরিস্থিতির শেষ পর্ব সাকিবরা মাঠ ছাড়ার সময়। আবাহনীর ড্রেসিং রুমের দিকে অশালীন ভঙ্গি করেন তিনি। এসময় আবাহনীর ড্রেসিং রুমের বাইরে থেকে তার দিকে কিছু বলতে বলতে এগিয়ে যান কোচ খালেদ মাহমুদ। তেড়ে আসেন সাকিবও। মোহামেডানের ক্রিকেটারদের কয়েকজন তখন থামান সাকিবকে। মাঠ ছাড়ার সময় মোহামেডানেরই শামসুর দৌড়ে আবাহনীর ড্রেসিং রুমের দিকে গিয়ে থামান খালেদ মাহমুদকে।

এতসব কাণ্ডের পর বড় শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন তারকা এই ক্রিকেটার, ধারণা করছেন অনেকেই। সেই শাস্তির মাত্রা কতটুকু হবে।

জানা যায়, মূলত আম্পায়ারদের রিপোর্টের ওপরই নির্ভর করছে, সাকিবের শাস্তি কি হবে।

যদি আচরণবিধির ‘লেভেল টু’ লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন তারা, তবে এই অপরাধের শাস্তি দুই ম্যাচ কিংবা কমপক্ষে এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা এবং আর্থিক জরিমানা আসতে পারে।

আর যদি ‘লেভেল ফোর’ ভঙ্গের অভিযোগ আনেন, তবে মোহামেডান অধিনায়ক বড় বিপদে পড়বেন। যার শাস্তি কমপক্ষে পাঁচ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা।

ইত্তেফাক/টিআর