শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

বেতন না কমালে মেসিকে রাখতে পারবে না বার্সা

আপডেট : ২২ জুন ২০২১, ২০:৩৫

লিওনেল মেসির সঙ্গে বার্সেলোনার চুক্তি শেষ হচ্ছে চলতি মাসেই। ক্লাবের কিংবদন্তিকে ধরে রাখতে সবধরণের চেষ্টা চালাচ্ছে কাতালানরা। ক্লাব সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে একটা কথাই বলছেন, মেসির সঙ্গে চুক্তি বাড়ানোই তাদের প্রধান কাজ। এ অবস্থায় বাগড়া দিতে যাচ্ছে স্প্যানিশ ক্লাব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা লা লিগা। তারা বলছে, বেতন না কমালে আর্জেন্টাইন সুপারস্টারকে ধরে রাখতে পারবে না বার্সেলোনা। 

গেল মৌসুম শুরুর আগে বার্সা ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে ফুটবল দুনিয়ায় হইচই ফেলে দেন মেসি। যদিও চুক্তির বেড়াজালে তাকে আটকে রাখতে সক্ষম হয় ক্লাবটি। 

তবে গত মৌসুমের মাঝামাঝিতে লিওর বেতন ফাঁস হয়, যেটি একেবারে কল্পনাতীত। ফাঁস সেই নথি অনুযায়ী জানা যায়, ৪ বছরের জন্য মেসির সঙ্গে বার্সেলোনার চুক্তি ৫৫৫ মিলিয়ন ইউরোর! অর্থাৎ বার্ষিক ১৩৮ মিলিয়ন ইউরো পেয়েছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। বাংলাদেশি অংকে যেটি প্রায় ১৫০০ কোটি টাকার মতো! এত টাকা বেতন দেয়া যে আইনসিদ্ধও নয়!

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রভাবে অন্য সবকিছুর মতো থমকে যায় ক্রীড়াঙ্গনও। ফলে আর্থিক সংকটের মুখে পড়ে বিশ্বের নামীদামী সব ক্লাব। ব্যতিক্রম নয় বার্সেলোনাও। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্লাবগুলোর একটি বার্সেলোনাও জানায়, তাদের ‍ঋণের পরিমান প্রায় ১ বিলিয়ন ইউরো। এ অবস্থায় দেউলিয়াত্বের শঙ্কায় থাকা বার্সেলোনাকে মেসির বেতন কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাস। 

তেবাস বলেন, বার্সেলোনা তাদের ওয়েজ ক্যাপ ছাড়িয়ে গেছে। আমি আশা করবো, তারা মেসিকে ধরে রাখতে পারবে তবে তার বেতন কমাতে হবে। আমরা বার্সার মজুরি বিল আর নমনীয় করতে পারবো না। তারা মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। সবার জন্যই নিয়ম একই হওয়া উচিত। মেসির জন্য আমরা নীতি পরিবর্তন করবোনা। 

বার্সার সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, গত বছর লা লিগার ক্ষতি হওয়া ৭০০ মিলিয়ন ইউরোর অর্ধেকই হয়েছে বার্সেলোনার কারণে। আর্থিক সংকটের মধ্যেও তারা সমানে খেলোয়াড় কিনেছে। অথচ রিয়াল মাদ্রিদকে দেখুন, তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছে। 

তবে তেবাসের কথাকে কতোটা গুরুত্বসহকারে দেখবে বার্সেলোনা, সেটি বলে দেবে সময়। কারণ লিওনেল মেসিকে ছাড়া আগামী মৌসুম খেলতে হবে, এমনটা যে ঘূর্ণাক্ষরেও ভাবছে না তারা!

 

ইত্তেফাক/এএএন