ওয়ানডে সিরিজের ৩য় ও শেষ ম্যাচেও জয় তুলে নিয়ে ওয়ানডে সিরিজে স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে ৫ উইকেটে জয় পেয়েছে টাইগাররা। আফ্রিকার দেশটিকে তাদের মাটিতে প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশ করলো বাংলাদেশ।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ২৯৮ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। জবাব দিতে নেমে অধিনায়ক তামিম ইকবালের সেঞ্চুরিতে, ৫ উইকেট ও ১২ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ।
Bangladesh gain another 10 points in the ICC Men’s @cricketworldcup Super League, powered by @MRFWorldwide
— ICC (@ICC) July 20, 2021
They defeat Zimbabwe by five wickets and sweep the ODI series 3-0.
????️ https://t.co/mj97hcik4S pic.twitter.com/35nzKaUe95
Bangladesh won by 5 wickets.#BANvZIM #RiseOfTheTigers pic.twitter.com/ulj1ioVNB3
— Bangladesh Cricket (@BCBtigers) July 20, 2021
আগের ২ ম্যাচে খুব একটা সুবিধা করতে না পারলেও, এদিন শুরু থেকেই আগ্রাসী ভঙ্গিতে ব্যাট চালাতে থাকেন তামিম ইকবাল। উদ্বোধনী জুটিতে লিটন দাসের সঙ্গে গড়েন ৮৮ রানের জুটি। এরপর সাকিব আল হাসানের সঙ্গেও গড়েন ৫৯ রানের পার্টনারশিপ।
এই দু’জন বিদায় নিলেও সাবলীলভঙ্গিতে ব্যাট চালিয়ে যেতে থাকেন তামিম। ঝোড়ো গতিতে খেলে ৮৭ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি। এরমধ্যে হাঁকান ৭টি চার ও ৩টি বিশাল ছক্কা।
14th ODI century for Tamim Iqbal, also his fourth against Zimbabwe.
— ICC (@ICC) July 20, 2021
What a knock ????
???? Watch #ZIMvBAN LIVE and FREE on https://t.co/CPDKNxoJ9v in select regions!
????️ https://t.co/mj97hczVts pic.twitter.com/ozYlcVqmyC
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তামিমের ১৪তম সেঞ্চুরি। আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪র্থ। তবে ১১২ রান করে আউট হন তামিম। টিরিপানোর পরের বলেই আউট হয়ে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও।
২ বলে ২ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন নুরুল হাসান সোহান ও মোহাম্মদ মিঠুন। দু’জনে গড়েন ৬৪ রানের জুটি। মিঠুন বিদায় নেন ৩০ রান করে।
তবে দীর্ঘ সাড়ে ৪ বছর পর দলে জায়গা পাওয়া নুরুল হাসান সোহান অটল ছিলেন। দলকে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। তার সঙ্গী ছিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। সোহান অপরাজিত থাকেন ৪৫ রানে। আর আফিফের সংগ্রহ ২৬ রান।
এর আগে ব্যাটসম্যানদের দাপটে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে বড় সংগ্রহ পায় জিম্বাবুয়ে।
হারারে স্পোর্টস গ্রাউন্ডে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। উদ্বোধনী জুটিতে ৩৬ রান পায় তারা। ব্রেক থ্রু এনে দেন সাকিব আল হাসান। ওপেনার মারুমানিকে ফেরান ব্যক্তিগত ৮ রানে।
২য় উইকেটে মিডল অর্ডার থেকে ওপেনিংয়ে উঠে আসা চাকাভার সঙ্গে ৪২ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলর। এ জুটি ভাঙেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দীর্ঘদিন পর বল হাতে নিয়ে জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ককে ফেরান তিনি।
৩য় উইকেট জুটিতে ৭১ রান পায় স্বাগতিকরা। এবারও ব্রেক থ্রু এনে দেন রিয়াদ। মেয়ার্সকে তিনি ফেরান ৩৪ রানে। আগের ম্যাচে ফিফটি হাঁকানো মাধভেরেকে ফেরান মুস্তাফিজ।
দারুণ খেলতে থাকা চাকাভা তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৩য় ফিফটি। এগোচ্ছিলেন ১ম সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু তাসকিনের দুর্দান্ত এক বলে বোল্ড হয়ে ৮৪ রানে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। এটি তার ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
সিকান্দার রাজা আর রায়ান বার্লের জুটিতে ৬ষ্ঠ উইকেটে ১১২ রান পায় জিম্বাবুয়ে। মূলত এই জুটিটাই বড় সংগ্রহের ভিত্তি গড়ে দেয় স্বাগতিকদেরকে। ঝোড়োগতিতে ব্যাট চালিয়ে দু’জনই তুলে নেন ফিফটি। ৫৭ রান করা রাজাকে ফেরান মুস্তাফিজ।
পুরো ম্যাচে হতাশ করা সাইফউদ্দিন এক ওভারে ৩ উইকেট তুলে নেন। ১৪ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ৩টি করে উইকেট তুলে নেন মুস্তাফিজ ও সাইফউদ্দিন।
শেষপর্যন্ত ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। এই জয়ে ওয়ানডে সুপার লিগের এই সিরিজে পূর্ণ ৩০ পয়েন্ট পেল টাইগাররা।
ইত্তেফাক/এএএন