ইসরায়েলের অ্যাথলেটের বিপক্ষে খেলতে রাজি না হওয়ায় আলজেরিয়ান জুডোকা ফেথি নুরিন ও তার কোচ আমার বেনিখলেফকে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে অলিম্পিক কমিটি। কেবল তাই নয়, তাদেরকে নিষিদ্ধও করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক জুডো ফেডারেশন (আইজেএফ) জানিয়েছে, নুরিন এবং বেনিখলেফকে তারা সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে। এর পরপরই আলজেরিয়ান অলিম্পিক কমিটি তাদের অ্যাক্রিডিটেশন প্রত্যাহার করে এবং জানায়, শীঘ্রই তাদেরকে দেশের ফ্লাইট ধরিয়ে দেয়া হবে।
আইজেএফ বলছে, নুরিনের পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক জুড়ো ফেডারেশনের নিয়ম বহির্ভূত।
এক বিবৃতিতে তারা বলছে, আইজেএফের একটি অসাম্প্রদায়িক নীতিমালা আছে। পারস্পরিক সংহতিকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিই। জুডোতে এমন একটি খেলা যেখানে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা, বন্ধুত্বপূর্ণ আচরনকে ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়। আমরা কোন ধরণের বৈষম্য সহ্য করবো না।
Nourine's withdrawal was "in total opposition to the philosophy of the International Judo Federation," the federation said. https://t.co/3blCagndBD
— The Japan Times (@japantimes) July 24, 2021
৭৩ কেজি ওজন শ্রেণীতে সুদানের মোহামেদ আবদালরসুলের মুখোমুখি হওয়ার কথা নুরিনের। সে ম্যাচে জিততে ২য় রাউন্ডে তার প্রতিপক্ষ হওয়ার কথা ইসরায়েলি অ্যাথলেট তোহার বুটবুলের।
তবে আলজেরিয়ান একটি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নুরিন জানান, ফিলিস্তিনের প্রতি তার সমর্থনের কারণে ইসরায়েলের একজন অ্যাথলেটের বিপক্ষে খেলা তার জন্য অসম্ভব।
Algerian judoka Fethi Nourine has been suspended and sent home after refusing to compete against an Israeli athlete.
— DW Sports (@dw_sports) July 24, 2021
"The Palestinian cause is bigger than all of this," says Nourine.#Tokyo2020 #Nourinehttps://t.co/XyGiXToSE5
তার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত জানিয়ে এই আলজেরিয়ান অ্যাথলেট বলেন, আমরা অলিম্পিকে খেলতে কঠোর পরিশ্রম করেছি। তবে ফিলিস্তিন ইস্যুটি আমার কাছে সবকিছুর চেয়ে বড়। ওখানে যা ঘটছে এরপর ইসরায়েলের একজন অ্যাথলেটের বিপক্ষে খেলা আমার পক্ষে অসম্ভব।
তার এমন সিদ্ধান্তে সুদানের মোহামেদ আবদালরসুল এখন সরাসরি চলে গেলেন পরের রাউন্ডে। সেখানে তার প্রতিপক্ষ ইসরায়েলের বুটবুল।
এর আগে ২০১৯ সালে টোকিওতে ওয়ার্ল্ড জুডো চ্যাম্পিয়নশিপেও ইসরায়েলি প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলতে অস্বীকৃতি জানান নুরিন। তিনি ছাড়াও ইরানের কয়েকজন জুডোকা ইসরায়েলের বিপক্ষে খেলতে রাজি হননি। ২০১৬ সালে এমন কাজ করেছিলেন মিশরের জুডোকা এল সাহাবি।
ইত্তেফাক/এএএন