শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

তার দুঃখের শেষ নেই

আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২১, ০৭:৫৯

জীবনে কতশত সংগ্রাম দেখেছেন। চোখের সামনে নির্যাতনের ঘটনা দেখেছেন। শেষ পর্যন্ত জন্মস্থান ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন ইরানের মেয়ে কিমিয়া আলিজাদেহ। তায়কোয়ানদোর এই খেলোয়াড় জার্মানিতে আশ্রয় পেলেও আইওসির শরণার্থী অলিম্পিক দলে খেলছেন। টোকিও অলিম্পিক গেমস তায়কোয়ানদোতে কাল ব্রিটেনের জাদে জোন্সকে হারিয়ে দিয়েছেন। ৫৭ কেজি ওজন শ্রেণির শেষ ষোলোর লড়াইয়ে জয় পেয়ে কিমিয়া কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছেন।

ব্রিটেনের এমন এক ক্রীড়াবিদকে হারিয়েছেন, যিনি দুই বারের অলিম্পিক স্বর্ণজয়ী। তার বিপক্ষে খেলতে নেমে কিমিয়া মুহূর্তে উড়ে যাবেন, সেটাই ধরে নিয়েছিলেন সবাই। কারণ দুই বার সোনার পদক জয়ী খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতার কাছে পিছিয়ে ছিলেন কিমিয়া। কিন্তু লড়াইয়ে নেমে ব্রিটেনের জাদে জোন্স এভাবে উড়ে যাবেন, ভাবেননি। এবার টানা তিন অলিম্পিকে পদক জয়ের স্বপ্ন নিয়ে টোকিও এসেছিলেন। কিন্তু হেরে যাওয়ায় তার স্বপ্নটাও যেন ভেঙে গেল।

কিমিয়া আলিজাদেহ টোকিওতে আন্তর্জাতিক সংবাদকে জানিয়েছেন, তিনি ইরানের নিপীড়িত লাখো নারীর একজন।

সাত বছর বয়সে তায়কোয়ানদো শুরু করেছিলেন কিমিয়া আজাদেহ। ১১ বছর পর ইরানের প্রথম নারী অলিম্পিক পদকজয়ী খেতাব অর্জন করেন কিমিয়া আলিজাদেহ, রিও অলিম্পিকে, ২০১৬ সালে। সেই বার দেশে ফেরার পর তাকে খোলা ময়দানে নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি সংবর্ধনা দিয়েছিলেন। তাকে বলা হয়েছিল সাহসী নারী। হিজাব পরে সাফল্য এনেছে কিমিয়া। এরপর সাড়ে তিন বছর কেটে যায়। ২০২০ সালে জানুয়ারিতে নির্যাতিত নারীর পক্ষে প্রচণ্ড প্রতিবাদ করেন। বিক্ষোভ করেন। দেশ ছাড়তে বাধ্য হন কিমিয়া। এরপরই কিমিয়া জার্মানিতে আশ্রয় নেন। আইওসি ২৯ জন শরণার্থীকে টোকিও অলিম্পিকে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে।

ইত্তেফাক/এমএএম