শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

মেডিটেশন কাজে লেগেছে মালাইকার

আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০২১, ০৪:০০

যাক অবশেষে অলিম্পিক গেমসে লংজাম্পে স্বর্ণপদক জয় করেছেন জার্মানির মালাইকা মাহিম্বো। অনেক প্রতীক্ষার অবসান হয়েছে। মুখে হাসি ফুটছে অর্থনীতি এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়া মালাইকার।

ইতালি, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ে, ইংল্যান্ডসহ নানা দেশের লংজাম্পারদের সঙ্গে লড়াই করে ব্রাজিলে রিও অলিম্পিকে গিয়েছিলেন জার্মান অ্যাথলেট মালাইকা মাহিম্বো। সেখানেও গিয়ে সুবিধা করতে পারেননি। চতুর্থ হয়ে ঘরে ফিরেছিলেন। মনটা তখন থেকে আরও বেশি খারাপ হয়ে গেল। নিজের শখের ভায়োলিন বাজিয়ে অনেক সময় মন ভালো করার চেষ্টা করেছেন। ভায়োলিনের সুর তুললেও পদক না পাওয়ার কষ্ট কি আর মুছা যায়।

দরজায় টোকিও অলিম্পিক গেমস এসে দাঁড়াচ্ছিল। কপালে চিন্তার ভাঁজ মালাইকার। অন্যদিকে মনে মনে শপথ নিচ্ছেন এবার টোকিওতে পোডিয়ামে উঠতেই হবে। মনটা ফ্রেশ করার জন্য কোনো এক বন্ধুর পরামর্শে ইউরোপ ছেড়ে ভারতে এসেছিলেন বেড়াতে। বন্ধু পরামর্শ দিয়েছিলেন ঘুরে বেড়িয়ে মনটা চাঙ্গা করে আবার অনুশীলনে ঝাঁপাও। দেখবে নতুন কিছু হতে পারে।

ইউরোপের মানুষ ইউরোপে সবই ঘোরা হয়ে গেছে। চোখ পড়ল ভারত। সঙ্গে সঙ্গে ব্যাগ গুছিয়ে প্রস্তুত। ২০১৯ সালের গল্প। জার্মানির হেডেলবার্গে জন্ম নেওয়া ইউরোপের মেয়ে ভারত ভ্রমণে গেলেন। সেখানে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন মেডিটেশন করবেন। এই মেডিটেশনই নাকি মালাইকা মাহিম্বোর জীবন ঘুরিয়ে দিয়েছে।

তিনি নিজের টুইটারে বলেছেন, পদক জয়ের পেছনে মেডিটেশন উপকার দিয়েছে। বলেছেন, ‘আমি ১০ ঘণ্টা করে মেডিটেশন করেছিলাম। এটা আমার খেলোয়াড়ি জীবনে বিরাট কাজে লেগেছে। আমি আমাকে অনেকভাবে আবিষ্কার করেছি। অনেক শেখার সুযোগ পেয়েছি। যেটা আমি আমার খেলায় কাজে লাগিয়েছি। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ছুটি কাটাতে ভারত ভ্রমণ আমার জীবনের সেরা ভ্রমণ।’

মালাইকা মাহিম্বোর খেলোয়াড়ি জীবনের শুরুটা লংজাম্পে ছিল না। খেলাধুলা ভালোবাসতেন। তাই প্রথমে জুডোতে গিয়েছিলেন। সেখানে বেশি কিছু দিন খেলে ফিরে আসলেন। তারপর গেলেন জিমন্যাস্টিকসে। সেখানে মন লাগাতে পারলেন না। পরে এসে অ্যাথলেটিকসে ঢুকলেন সেটি আট বছর বয়সে। স্প্রিন্টার হতে গিয়ে হয়েছেন লংজাম্পার। এই ইভেন্টেই স্বর্ণপদক জয় করে জার্মানিদের উপহার তুলে দিয়েছেন মালাইকা মাহিম্বো।

ইত্তেফাক/টিএ