সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সকাল থেকেই ছবিটা ছড়িয়ে পড়েছিল। পুলিশের আইজিপি বেনজীর আহমেদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাসকিন আহমেদ ও সৌম্য সরকার। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কয়েকজন কর্মকর্তার উপস্থিতিতেই ছবির হেতু স্পষ্ট হয়ে গেছে। আইজিপি নিজেও ক্লাবটির সদস্য।
ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের আগামী আসর নিয়েই মোহামেডানের এই দৌড়ঝাঁপ। বেশ নিভৃতেই মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক, সৌম্যদের সঙ্গে চুক্তি করেছে ক্লাবটি। এর বাইরে মেহেদী হাসান মিরাজকেও দেখা যাবে সাদা-কালো শিবিরে। গত আসরে খেলা সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ, আবু জায়েদ রাহী, পারভেজ হোসেন ইমন, শামসুর রহমান শুভ, শুভাগত হোমরাও মোহামেডানের তাঁবুতে থেকে যাচ্ছেন। তরুণ ফাস্ট বোলার হাসান মাহমুদকেও দলভুক্ত করেছে ক্লাবটি। সব মিলিয়ে মোহামেডানের ক্রিকেট দল এখন তারকায় ভরপুর।
প্রিমিয়ার লিগে শক্তিশালী দল গঠনের কাজটা সম্পন্ন করেছে মোহামেডান। মূলত ক্রিকেটে ক্লাবটির হারানো ঐতিহ্য ফেরানো, চ্যাম্পিয়নের লড়াইয়ে শামিল থাকতেই এমন তারকাখচিত দল গড়া হয়েছে। যদিও যে আসরের জন্য মোহামেডানের এত প্রস্তুতি, সেটি অনুষ্ঠিত হতে পারে আগামী বছর মার্চে। তখন বাংলাদেশ জাতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করবে। তাই দলভুক্ত করলেও জাতীয় দলের তারকাদের লিগের পুরো সময়ে পাবে না ক্লাবটি।
জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ধারাবাহিকভাবে পাওয়া যাবে না, মোহামেডান কর্তাদেরও সেটি জানা রয়েছে। নানা হিসেব কষেই তারকা ভেড়ানোর পথে নেমেছেন তারা। ক্লাবের ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুজ্জামান গতকাল বলেছেন, ‘আমরা ধরে নিয়েছি, ওদেরকে আমরা বিরতি দিয়ে দিয়ে পাবো। সবাইকে একসঙ্গে না পেলেও দেখা যাবে কেউ টি-২০ খেলছে না, টেস্ট খেলছে না, এভাবে পাওয়া যাবে।’
গত আসরে সুপার লিগের ষষ্ঠ দল মোহামেডান আগামীতে চ্যাম্পিয়ন হতে চায়। মাসুদুজ্জামান বলেছেন, ‘আমরা চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ের জন্যই এমন দল করেছি। এখানে বুঝতে হবে আমরা যেমন জাতীয় দলের ক্রিকেটার একসঙ্গে পাবো না, আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিরাও পাবে না। তার মানে ব্যাকআপ স্কোয়াডটা গুরুত্বপূর্ণ, তারাই খেলবে। জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটার নিয়েছি, তাদেরকে কখনও কখনও পেলে আমাদের বড় সুবিধা হবে।’
সমর্থকদের উজ্জীবিত করা, বড় কিছু উপহার দেয়ার অভিপ্রায়ে ক্লাবের নতুন ক্রিকেট কমিটি কাজ করছে জানিয়ে মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা, সমর্থকদের একটা বার্তা দেয়া যে, আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। ক্রিকেট কমিটির নতুন ম্যানেজমেন্টের একটা চেষ্টা যেন দলটা শক্তিশালী হয়।’ মোহামেডানে সাকিব-মুশফিকদের হেড কোচ হিসেবে কাজ করবেন অভিজ্ঞ কোচ সরোয়ার ইমরান।
ইত্তেফাক/এসআই