লিওনেল মেসি পিএসজিতে যাওয়ার পর থেকেই সমর্থকদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল দলটির আক্রমণভাগের ত্রয়ী মেসি-নেইমার ও এমবাপ্পে (এমএনএম)। বিশেষজ্ঞরাও তাদের নিয়ে নানা বিশেষণ দিচ্ছিলেন। অবশেষে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে মাঠে নামলেন তারা। কিন্তু দলতে জেতাতে পারলেন না।
বাংলাদেশ সময় বুধবার দিবাগত রাত ১টায় চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামে পিএসজি। বেলজিয়ামের ক্লাব ব্রুজের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে ড্র করেছে ফরাসি জয়ান্টরা।
এদিন ম্যাচের প্রথম থেকেই মাঠে নামেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই তিন ফুটবলার। শুরুটাও দারুণ করেন। তাদের বেশ ছন্দে মনে হচ্ছিল। কিন্তু সময় ঘরানোর সঙ্গে সঙ্গে তাদের সেরাটা যেন হারিয়ে যেতে থাকে। উল্টো বারবার আক্রমণে পুরোটা সময় পিএসজির গোলবার ব্যস্ত রাখেন ব্রুজের ফরোয়ার্ডরা।
ম্যাচের শুরুতে পিএসজিকে বেশ গোছালো মনে হয়েছিল। ১৫ মিনিটের মাথায় এমবাপ্পের দারুণ এক পাসে গোল করেন আন্দের এরেরা। কিন্তু খুব বেশি সময় লিড ধরে রাখতে পারেনি পচেত্তিনোর শীর্ষরা। ১২ মিনিট পরই পাল্টা আক্রমণে ব্রুজকে সমতায় ফেরান দলীয় অধিনায়ক ও বেলজিয়ান মিডফিল্ডার হান্স ভানাকেন। তাকে সুন্দর এসিস্ট করেন এদুয়ার্দ সোবোলে।
গোল খাওয়ার পরই বেশ অগোছালো হয়ে পড়েন পিএসজির খেলোয়াড়রা। পুরো ম্যাচে ৬৪ শতাংশ সময় বল প্যারিসিয়ানদের কাছে থাকলেও সেটা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তারা। অসংখ্য ভুল পাস দিয়েছে। যার খেসারতও দিতে হয়েছে। ব্রুজের খেলোয়াড়রা মাত্র ৩৬ শতাংশ সময় বল দখলে রাখলেও পিএসজির গোলবারে শট মেরেছেন ১৬টা। বিপরীতে মেসি-নেইমাররা ব্রুজের গোলবারে শট নিতে পেরেছেন মাত্র ৯টা।
প্রথমার্ধের শেষ সময়ে মারাত্মক ইনজুরিতে পড়েন এমবাপ্পে। কিছুক্ষণ পর মাঠেও ফিরে আসেন। কিন্তু, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবারও প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের ট্যাকলে পড়ে মাঠের বাইরে যেতে বাধ্য হন তিনি। তার বদলি হিসেবে নামেন ইকার্দি।
ভাগ্যিস, গোলবারে কোস্টারিকান গোলকিপার কেয়লর নাভাস ছিলেন। তিনি মোট ছয়টা দুর্দান্ত সেভ করেছেন। নয়তো আরও যে কয়টা গোল হতো তা আর বলার নয়। আরও একটি ব্যাপার বেশ ভাবাচ্ছে। সেটা হলো- পচেত্তিনোর অধীনে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলা সাতটি ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতেই গোলবারে প্রতিপক্ষ দলের চেয়েও কম শট দিতে পেরেছে নেইমার-এমবাপ্পেরা।
তবে ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে নিজেদের গুছিয়ে আনতে সক্ষম হয় পিএসজি। বারবার আক্রমণে যায় মেসি, নেইমার, ইকার্দিরা। কিন্তু গোল আর আদায় করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১-১ ব্যবধানে ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো।
ইত্তেফাক/টিএ