ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার নেইমার ও ফরাসি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পের বন্ধুত্বের কথা কে না জানে! পিএসজির জার্সিতে তাদের দু'জনের রসায়ন সেটারই প্রমাণ। হোক তা ড্রেসিং রুম, অনুশীলন মাঠ কিংবা খেলার মাঠ, সব জায়গায় তাদের খুনসুটি সমর্থকদের মাতিয়ে রাখতো। কিন্তু চলতি মৌসুমে সেই রসায়ন আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
২০১৭-১৮ মৌসুমে একই সঙ্গে প্যারিসে পাড়ি জমান নেইমার ও এমবাপ্পে। এরপর থেকে গত তিন মৌসুমের মধ্যে একবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল ও একবার সেমিফাইনাল খেলেছে পিএসজি। যার পেছনের অন্যতম কারিগর এই দুইজন। চলতি মৌসুমে মেসি দলে আসায় সবাই ভেবেছিল রসায়নটা আরও জমে উঠবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেটি দেখাতে ব্যর্থ ‘এমএনএম’ ত্রয়ী। অবশ্য তারা তিনজন এক সঙ্গে কেবল একটি ম্যাচই খেলতে পেরেছে।
এদিকে, লিওনেল মেসি আসার পর থেকে তার সঙ্গেই বেশি সময় কাটাতে দেখা যাচ্ছে নেইমারের। অন্যদিকে, এমবাপ্পের সঙ্গী মরক্কোর আশরাফ হাকিমি। তাদের ইন্সটা অ্যাকাউন্টে ঢুকলে এমন চিত্রই চোখে পড়ে। যার প্রভাব মাঠেও দেখা যাচ্ছে। ফলে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, নেইমার-এমবাপ্পে বন্ধুত্বে কী ফাঁটল ধরেছে?
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে মঁপেলিয়ের বিপক্ষে ম্যাচে মাঠে নামেননি মেসি। তবে শুরু থেকেই ছিলেন নেইমার ও এমবাপ্পে। পুরোটা সময় পিএসজিও দাপট দেখিয়েছে। কিন্তু দুই ফরোয়ার্ড নেইমার-এমবাপ্পের রসায়ন দেখা যায়নি। এমনকি তারা একে অপরকে খুব একটা পাসও দেননি। নয়তো ব্যবধান আরও বেশি হতে পারতো। অথচ শেষ পর্যন্ত জয় পেয়েছে কেবল ২-০ ব্যবধানে। গোল পাননি তাদের দু'জনের কেউই।
প্রতিপক্ষের গোলবারে ১৬টি শট নিয়েছে পিএসজি। খেলোয়াড়রা স্কোর করতে বারবার চেষ্টা করেন। কিন্তু একে অপরকে পাস দেননি নেইমার-এমবাপ্পে। বেশ কয়েকবার সুযোগ থাকার পরও পাস দিতে আগ্রহ দেখাননি তারা। দু'বার গোলকিপারকে একা পান এমবাপ্পে। তখন বল ছিল নেইমারের দখলে। চাইলেই এমবাপ্পের কাছে বলটি পাঠাতে পারতেন এবং গোল হওয়ার পুরোপুরি সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু নেইমার তা করেননি। পিএসজিও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি।
ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে ৮৮ মিনিটের সময় নেইমারের দুর্দান্ত পাসে গোল করেন ড্রাক্সলার। কিন্তু সেই গোলটির পর স্বস্তি পাননি এমবাপ্পে। তাকে বেশ ক্ষুব্ধ মনে হয়েছে। ক্যামেরায় দেখা গেছে, এমবাপ্পে তার পাশে থাকা গানা গে'কে বলছেন, ‘আমি হলে সে (নেইমার) এই পাস দিতো না।’
ইত্তেফাক/টিএ