মালদ্বীপে সাফের ফাইনাল শেষ হয়ে গেছে শনিবার রাতে। ভারত অষ্টম বারের মতো সাফের ট্রফি জয় করেছে। ফাইনালে তারা ৩-০ গোলে নেপালকে হারিয়েছে।
ফাইনালে খেলার স্বপ্ন নিয়ে মালদ্বীপে গেলেও আবারও খালি হাতেই ফিরেছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। রবিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকায় পা রাখে ফুটবল দল। জানা গেছে, ফাইনাল দেখতে স্টেডিয়ামে কেউ না গেলেও কয়েকজন ফুটবলার হোটেল রুমেই ছিলেন। ফাইনাল দেখতে টিভির পর্দায় চোখ রেখেছিলেন। কেউ গিয়েছিলেন ঘুরতে। মন ভালো নেই ওদের। বাস্তবতা হচ্ছে- আরেকটি সাফ হতে শূন্য হাতে ঘরে ফিরেছেন জাতীয় দলের ফুটবলাররা।
নেপালের বিপক্ষে জিততে পারলে সাফের ফাইনালে খেলার সুযোগ থাকতো। সেটি হয়নি। উজবেকিস্তানের রেফারি খেলা পরিচালনা করেছেন। সমালোচিত হয়েছেন। সমর্থকরা বলছেন, উজবেকিস্তানের রেফারি বাংলাদেশকে বঞ্চিত করেছেন। প্রতি সাফেই দেখা যায়, বাংলাদেশ কোনো না কোনো ভাবে ভুল সিদ্ধান্তের ফাঁদে পড়েন। যারা ২০১৩ সালে নেপালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ দেখেছেন তারাও একথা বলছেন।
কাঠমান্ডুতে হলচুকের মাঠে ভারতের বিপক্ষে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকা বালাদেশ ১-১ গোলে ড্র করে। খেলার শেষে যোগ হওয়া সময়ে গোল করে ম্যাচ বাঁচান সুনীল ছেত্রী। সেমিফাইনালে উঠেছিল ভারত। সেই ম্যাচেও রেফারি বেশি সময় খেলিয়ে ম্যাচটা ড্রয়ের পথে নিয়ে গেছেন। বাফুফে কেন এসব প্রতিবাদ করে না, তা নিয়েও সমর্থকদের মনে প্রশ্ন।
এবার নেপালের বিপক্ষে রেফারি বঞ্চিত করেছেন, এটা মনে করেই চিঠি দিয়েছে বাফুফে। রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে চিঠি দিয়েছে। যদি বিষয়টা সাফ বিবেচনা করে সেটি এএফসিতে যাবে। রেফারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হলে সেটি জনসমক্ষে আসে না। শাস্তি পেলে তাকে ম্যাচ পরিচালনা করতে দেওয়া হবে না।
ইত্তেফাক/টিএ