বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
The Daily Ittefaq

ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ফিঞ্চের অস্ট্রেলিয়া

আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২১, ২২:০২

ক্রিকেটের ক্ষুদে সংষ্করণ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে গত এক বছরে অস্ট্রেলিয়া শুধু শীর্ষস্থানই হারায়নি। র‌্যাঙ্কিংয়ে ক্রমশ নিচে নেমেছে তারা। বর্তমান ফর্মের নিরিখে তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অ্যারন ফিঞ্চের দলকে কোনোভাবেই ফেভারিট তকমা দেওয়া যায় না। কে বলবে ২০২০ সালের মে মাসে তারাই ছিল আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে!

এই ফরম্যাটে টানা পাঁচটি সিরিজ হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ড, ভারত, নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর কিছুদিন আগে ঢাকার মাঠে বশ মানতে হয়েছিল বাংলাদেশের কাছেও। সর্বশেষ ২১টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্যে ১৫টিতে পরাজয়ের ততো স্বাদ অজিদের মুখে। জয় মাত্র ছয় ম্যাচে। এই ফর্মের নিরিখে প্রথমবারের জন্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার স্বপ্ন সত্যি হওয়া কঠিন।

তবে অস্ট্রেলিয়া মানেই লড়াকু মানসিকতা। আর জেতার মারাত্মক তাগিদ। তাই ফিঞ্চদের উপেক্ষা করাও মুশকিল। যে কোনো সময়ে জ্বলে উঠার ক্ষমতা রাখে অস্ট্রেলিয়া। গত দেড় বছরে অস্ট্রেলিয়াকে ভুগিয়ে চলেছে চোট-আঘাত সমস্যা। ডেভিড ওয়ার্নার, প্যাট কামিন্স, স্টিভ স্মিথ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিস, কেন রিচার্ডসনদের এই সময়ে নিয়মিত পায়নি তারা। আরব আমিরাতে অবশ্য পুরো শক্তির দল নিয়েই ঝাঁপিয়ে পড়তে তৈরি ক্যাঙারু-বাহিনী।

অস্ট্রেলিয়ার শক্তি

ওপেনিংয়ে ওয়ার্নার-ফিঞ্চ জুটির দিকে বড় রানের আশা থাকছে। ব্যাটিং অর্ডারের তিন নম্বরে মিচেল মার্শ স্বস্তি দিয়েছেন। চার নম্বরে পার্থক্য গড়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন ম্যাক্সওয়েল। আইপিএলে বেশ ছন্দে দেখা গিয়েছে তাকে। মরুর দেশের স্পিন সহায়ক পিচে ঘূর্ণি বলের বিরুদ্ধে বড় ভরসা স্মিথের ব্যাট। অবশ্য পেস আক্রমণ। মিচেল স্টার্ক, জস হ্যাজলউড, প্যাট কামিন্সরা গতির পাশাপাশি বৈচিত্রের অধিকারীও। ডেথ ওভারে আবার রিচার্ডসন বেশি স্বচ্ছন্দ। অ্যাডাম জাম্পার মতো লেগ স্পিনারও রয়েছেন দলে।

অস্ট্রেলিয়ার দুর্বলতা

স্পিনের বিরুদ্ধে অজি ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতা কারো অজানা নয়। পাওয়ার-প্লে শেষ হওয়ার পর স্পিনারদের সামলানো তাই তাদের কাছে কঠিন চ্যালেঞ্জ। অধিনায়ক ফিঞ্চ হাঁটুর চোটের পর থেকে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটের বাইরে থেকেছেন। আইপিএলে ওয়ার্নারের পারফরম্যান্স পাতে দেওয়ার মতো নয়। ম্যাক্সওয়েলের ওপর তাই মারাত্মক চাপ থাকছে। তিনি ঝড় তুলতে না পারলেই সমস্যা। কারণ, লোয়ার মিডল অর্ডারে অস্ট্রেলিয়ার দুর্বলতা আছে।

ইত্তেফাক/টিএ