চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেছিলেন কুইন্টন ডি কক। কিন্তু পরের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনি একাদশে ছিলেন না। পরে জানা গেলো ব্যক্তিগত কারণেই নিজেকে সরিয়ে নেন দক্ষিণ আফ্রিকান এ ক্রিকেটার। যা নিয়ে পরবর্তীতে বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
বর্ণবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে বিভিন্ন খেলাতেই খেলোয়াড়দের হাটু গেড়ে বসার দৃশ্যটি এখন বেশ নিয়মিতই হয়ে আসছে। গত ২৩ অক্টোবর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর আগে হাটু গেড়ে বসে 'ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার (বিএলএম)' আন্দোলনের সমর্থন জানায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন ডি কক। সমর্থন না জানিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন তো বটেই, দুই হাত কোমড়ে রেখে তার দাঁড়ানোর ভঙ্গিমাও দৃষ্টিকটু লেগেছে নেটিজেনদের। এক্ষেত্রে ডি ককের বক্তব্য ছিল, জোর করে কোনো নিয়ম চাপিতে দিতে পারে না বোর্ড।
Quinton de Kock statement ???? pic.twitter.com/Vtje9yUCO6
— Cricket South Africa (@OfficialCSA) October 28, 2021
অবশেষে নিজেই সেই বিতর্কের অবসান ঘটালেন এই ক্রিকেটার। ক্ষমা চেয়েছেন তিনি এবং বলেছেন, বোর্ডের আরোপিত নিয়ম মেনে চলবেন।
দুঃখ প্রকাশ করে ডি কক বলেন, ‘প্রথমেই আমি সতীর্থ এবং সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি কখনোই এটিকে ইস্যু তৈরি করতে চাইনি। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর গুরুত্ব আমি বুঝি। পাশাপাশি একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে উদাহরণ সৃষ্টি করার দায়িত্ব সম্পর্কে বুঝি।
যদি আমি হাঁটু গেঁড়ে বসলে অন্যদের জন্য তা শেখার বিষয় হয় এবং জীবনকে আরও ভালো করতে সহায়তা করে, আমি খুশি মনেই তা করবো। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে না খেলার মাধ্যমে আমি কাউকে অসম্মান করতে চাইনি। আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং সবকিছুর জন্য মন থেকে ক্ষমা চাচ্ছি।’
ইত্তেফাক/টিএ